সফল মানুষের পরামর্শ ও কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করে আমরা অনেকেই নিজের জীবনে সফল হতে চাই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সফলদের সাফল্যের পেছনে অন্যতম হাতিয়ার হল ব্যর্থতাকে মূল্যবান বিবেচনা করে বিপুল বিক্রমে ফিরে আসেন তারা। বিফলতা থেকে শক্তি সঞ্চয়ে যে ৭টি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়েই আজ আলোচনা করা হলো :
গ্রহণের মানসিকতা : ব্যর্থ হওয়ার লক্ষ্য কারোরই থাকে না। কিন্তু একে গ্রহণ করার মানসিকতা ধারণ করতে হবে। ব্যর্থতা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মতো, যা এড়ানো যায় না। এখান থেকে কৌশল ও শক্তি সংগ্রহের ইচ্ছা থাকলে ভয় উড়ে যাবে।
মেনে নেওয়া : ব্যর্থতাকে মেনে নেওয়ার প্রস্তুতি থাকা ব্যবসাকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। প্রতিষ্ঠানে যদি এ-সংক্রান্ত অলিখিত নিয়ম থাকে, তবে বিফল হওয়ার পর কী করতে হবে তার সম্পর্কে সবাই সচেতন থাকেন। আকস্মিকতায় কেউ ভেঙে পড়েন না।
লক্ষণ বুঝুন : লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে চলেছেন-এর কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যদি তা আগে থেকে শনাক্ত করতে পারেন, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যথেষ্ট সময় থাকবে। এর চর্চা করতে থাকুন।
পূর্বপ্রস্তুতি রাখা : হাসপাতালের জরুরি বিভাগ যেমন যেকোনো রোগীর সমস্যায় জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তেমনি প্রস্তুতি নিজের মধ্যেও রাখবেন। ব্যর্থ হওয়া মাত্র যদি জরুরিভাবে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে পারেন, তবে ধকল সামলে ওঠা কঠিন হবে না।
কারণ নির্ণয় : একেবার আসল খবর বের করতে হলে সঠিক প্রশ্ন করতে হবে। তবেই ব্যর্থতার মূল কারণ পরিষ্কার হবে। এগুলো জানতে পারলে আর ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। কাজের ধরন ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে সঠিক প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারলেই আপনি বাস্তবতা অনুধাবন করবেন।
কর্মপরিকল্পনা : প্রত্যেক কর্মীর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এই কর্মপরিকল্পনা এমন হবে যেখানে ব্যর্থতা থেকে পাওয়া শিক্ষার প্রয়োগ ঘটে।
ব্যর্থতার শিক্ষা : কর্মক্ষেত্রে এক ধরনের সংস্কৃতি বিরাজ করে। একে কার্যকর ও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবেন। প্রতিষ্ঠানে ব্যর্থতার শিক্ষা কর্মপরিবেশের মৌলিক সাংস্কৃতিক উপাদান হিসেবে প্রবেশ করবে। এসব শিক্ষা থেকে যে কর্মকৌশল নির্ধারিত হয়, তার চর্চা নিয়মিত কর্মকাণ্ডের অংশ বানাতে হবে। প্রতিটি ভুল থেকে প্রতিষ্ঠান যে শিক্ষা অর্জন করেছে তা মহামূল্যবান সম্পদ হয়ে গচ্ছিত থাকবে। প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট এমন হবে, যাতে ব্যর্থতা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার ছাপ থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/২০ আগস্ট ২০১৫/শরীফ