বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোর প্রভাব দেহে সন্তান ধারণের উপযোগী হতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে শুধু খাবারই নয়, কিছু ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও কার্যকর ভূমিকা রাখে। নিচে সন্তান ধারণে সহায়ক ৭টি খাবার নিয়ে আজ আলোচনা করা হলো :
স্বাভাবিক স্বাস্থ্যকর খাবার : সন্তান ধারনের জন্য দেহে স্বাস্থ্যকর খাবার প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিন ও মিনারিল দেহে গ্রহণ করা প্রয়োজন। দেহের শুক্রাণু ও ডিম্বানুর পর্যাপ্ত উৎপাদন ও চলাচলের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এগুলো প্রয়োজন। এছাড়া রয়েছে দেহের হরমোনগুলোর কার্যকারিতা বাড়ানো। এজন্য নিয়মিত ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
ভিটামিন ও খাদ্য উপাদান : যেসব ভিটামিন ও খাদ্য উপাদান দেহের সন্তান ধারনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে২, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, ফলিক এসিড, আয়রন, জিংক, প্রোটিন, ফ্যাট ও ফাইবার।
নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় প্রাণীজ প্রোটিন : উর্বরতা বাড়ানোর জন্য প্রাণীজ প্রোটিন কমানো প্রয়োজন তবে একেবারে বাদ দেওয়াও উচিত হবে না। কারণ দেহের হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে এর ভূমিকা রয়েছে। রেড মিট বা স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাংস থেকে পাওয়া প্রোটিন, আয়রন, বি১২ এবং ওমেগা ৩ এক্ষেত্রে দেহের চাহিদা মেটাতে পারে। খাদ্য তালিকায় নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় মুরগি, ডিম ও মাছ রেখে এ চাহিদা মেটানো সম্ভব।
উদ্ভিজ্জ প্রোটিন : যেসব ফলমূল বা সবজিতে প্রোটিন রয়েছে সেগুলো উর্বরতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গাঢ় পাতার সবজিতে রয়েছে আয়রন, ফলিক এসিড, বি১২, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই। রঙিন সবজিতে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি৬। উর্বরতার জন্য এগুলো সালাদ হিসেবে কিংবা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডাল ও বীজ। এগুলো উর্বরতার বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
দানাদার খাবার ও ডেইরি পণ্য : যেসব কার্বহাইড্রেট ইনসুলিনের ওপর প্রভাব ফেলে না সেগুলো উর্বরতার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। দুধ ও বিভিন্ন ধরনের দুগ্ধজাত সামগ্রী উর্বরতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। দুধের ক্যালসিয়ামসহ নানা পুষ্টি উপাদান এক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি।
ওমেগা থ্রি : ওমেগা থ্রি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো মাছ। এছাড়া কিছু সবজিতেও ওমেগ্রা থ্রি পাওয়া যায়। এসবের মধ্যে রয়েছে তিসি ও আখরোট বাদাম। এটি দেহের হরমোন মাত্রায় পরিবর্তন আনে এবং স্বাস্থ্যকর প্রজনন অঙ্গ গড়তে সহায়তা করে। এছাড়া এটি দেহের রক্ত সরবরাহও ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্যকর তেল : উর্বরতা বাড়ানোর জন্য অলিভ অয়েল ও নারিকেল তেল সবচেয়ে উপকারি। এগুলো দেহের ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে এবং সন্তান ধারণের উপযোগী হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিডি-প্রতিদিন/২৩ অাগস্ট ২০১৫/শরীফ