নতুন একটা বছরে আমরা সম্প্রতি পা দিয়েছি। পুরনো বছরের সব কষ্টস্মৃতি ও না পাওয়ার হতাশা পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। গেলো বছরের হতাশা নিয়ে এখন বসে থাকার সুযোগ নেই। নতুন বছরে কি পেতে চান তা নিয়েই এখন সমস্ত পরিকল্পনা সাজাতে হবে। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পেশাগত জীবনে কি অর্জন করতে চান সেজন্য সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে।
কীভাবে এগুলো সামনের দিনে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জনে সক্ষম হবেন তা নিয়েই নিচে আলোচনা করা হলো :
১. নতুন বছরে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না যা আপনি পূরণ করতে সক্ষম নন। এই প্রতিশ্রুতি নিজের বা অপরের জন্যে হতে পারে। খাদ্য তালিকার বিষয়ে দুই একটি প্রতিশ্রুতি পাকা করে ফেলুন। জীবনযাপনের বিষয়ে এগুলো করুন। তবে যাই করুন না কেন, সাধ্যের বাইরে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না।
২. বাস্তবিক বুদ্ধিসম্পন্ন হোন। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে অন্যের সহায়তা নিন। এক মাইল যদি কোনদিন না দৌড়ে থাকেন, তবে ম্যারাথনে যোগ দিতে যাবেন না। বাস্তবতাবিবর্জিত কোনো কাজে এগিয়ে যাবেন না। এতে কেবল হতাশা ভর করে। নতুন বছরে কোনো হতাশা না নিতে চাইলে বৈষয়িক হতে হবে।
৩. এমন সব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্থির করুন যা আপনার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। সাধ্যে যা নেই তা করতে যাওয়াটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। সকালে হয়তো ঘুম থেকে ওঠার পরিকল্পনা করলেন। তাই বলে গভীর রাতে বাড়িতে ফিরে খুব ভোরে নিয়মিত ওঠার চেষ্টা করবেন না।
৪. পুরষ্কারটির দিকে দৃষ্টি রাখুন। এগুলো আসলে লক্ষ্য পূরণের পুরষ্কার। এটি দেখতে পারলে উদ্দীপনা বেড়ে যাবে। প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজের পুরষ্কার মেলে। এগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে চাইলে গন্তব্যের দিকে তাকান। এরপর এগিয়ে যেতে থাকুন। আর এ পদ্ধতিতেই যে কাজ চালিয়ে যাবেন, তা নতুন বছরে ঠিক করে ফেলুন। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট
বিডি-প্রতিদিন/৪ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ