দৈনন্দিন জীবনযাপনে ব্যস্ততার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চাপ। তবে ব্যস্ততাকে তো আর ছুটি দেওয়া যায় না। জানতে হবে চাপ মোকাবেলা করার কৌশল। প্রতিদিনের জীবনযাপনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারলেই চাপমুক্ত থাকা সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক চাপমুক্ত থাকার ৭ উপায়।
মেডিটেশন : চাপ কমাতে মেডিটেশনের বিকল্প নেই। সারাদিনের ব্যস্ততা থেকে মাত্র ১০ মিনিট সময় বের করে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মেডিটেশন করতে পারেন৷ নিয়মিত মেডিটেশন করলে নানা পরিস্থিতি সহজেই ঠাণ্ডা মাথায় সামলানো যায়।
ডিপ ব্রিদিং : অফিসে কাজের চাপে অনেক সময়েই ক্লান্ত লাগে। ক্লান্তি কমাতে ডিপ ব্রিদিং-এর জুড়ি নেই। কাজের মাঝে ৫ মিনিটের ব্রেক নিন। সোজা হয়ে বসে শ্বাস নিন। খেয়াল রাখতে হবে এই প্রবাহ যেন তলপেট থেকে শুরু হয়ে মস্তিষ্ক পর্যন্ত পৌঁছায়। যতক্ষণ সম্ভব শ্বাস ধরে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন।
চিন্তামুক্ত : ভবিষ্যতে কী হবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তা করাটা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বরং এই মুহূর্তে যা করছেন তার উপর মনোযোগ দিন। সকালে হাঁটতে বের হয়ে অফিসের কথা চিন্তা না করে সকালের প্রকৃতি উপভোগ করুন। খাওয়ার সময় খাবারটা উপভোগ করুন। কাজ করার সময় তার ফলের উপর নির্ভর না করে কাজের উপর মনোযোগ দেওয়াই ভালো।
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা : বন্ধুদের সঙ্গে বা কথা বলতে ভালো লাগে এমন কোনো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। একাকীত্ব অনেক সময় চাপ বাড়িয়ে দেয়। কাজের ফাঁকে কোনো কোনো দিন বন্ধুদের সঙ্গে কফি শপে আড্ডা দিন। তাদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন। উইকেন্ডে দল বেঁধে বেড়াতে যান।
জোরে হাসুন : জোরে হাসুন। চাপ দূর করার বড় উপায় হাসি। অফিস থেকে ফিরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কোথাও সিনেমা দেখতে যান। অফিসের ব্রেকে সহকর্মীর সঙ্গে মজাদার জোক শেয়ার করুন।
গান শুনুন : ভালো গান শুনুন। মিউজিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। স্মার্ট ফোনে মিউজিক অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন বা সঙ্গে এমপি থ্রি প্লেয়ার রাখুন।
ক্রিয়েটিভ কাজ করুন : কাজের বাইরে কোনো শখ তৈরি করুন। সেটা গান শেখা, ছবি আঁকা, স্ট্যাম্প কালেকশন এরকম অনেক কিছুই হতে পারে। ক্রিয়েটিভ কোনো কাজে ব্যস্ত থাকলে তা চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। সূত্র: এই সময়
বিডি-প্রতিদিন/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শরীফ