শামীম ও শাম্মীর ঘর অালো করে গত বছরের সেপ্টেম্বরে জন্ম নেয় তাদের প্রথম মেয়ে সন্তান। আত্মীয়-স্বজনদের মতো খুশিতে আত্মহারা এ দম্পতি। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই মেয়েকে নিয়ে তাদের চিন্তা বেড়ে যায় কারণ মেয়েকে লালন পালন করতে গিয়ে তাদের খরচ অনেকটাই বেড়ে গেছে। তার উপর একমাত্র স্বামীর নির্দিষ্ট আয়। অনেক চেষ্টা করেও তারা খরচ কমিয়ে আনতে পারছে না। শামীম ও শাম্মীর মতো অন্যান্য দম্পতিদের জন্যই আজকের এই লেখা।
অপ্রয়োজনে নতুন খাট/পালঙ্ক কেনা থেকে বিরত থাকুন : সংসারে নতুন অতিথি আসবে বা এসেছে- এমন ধারণা থেকে আগেভাগেই নতুন খাট বা পালঙ্ক কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পরিবারে নতুন শিশু আসছে- এ উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে পালঙ্ক বা খাট কেনা হলে তা পরে কোনো কাজেই আসে না।
পোশাক কেনার ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হউন : অনেকেই শিশুদের জন্য অতিরিক্ত পোশাক কেনেন; যা পরে কাজে আসে না। ওই পোশাক দুইদিন পরেই অনেকসময় তা ছোট হয়ে যায় বা ফেলে দিতে হয়। তাই বাচ্চাদের পোশাক কেনার ব্যাপারে মিতব্যয়ী হতে হবে। অপ্রয়োজনে গাদা গাদা পোশাক কেনার দরকার নেই।
বাচ্চার জন্য কিছু কেনার আগে দ্বিতীয়বার ভাবুন : বাচ্চার জন্য কোনো কিছু কেনার আগে ভেবে নিন যে ওই জিনিস তার কতটুকু কাজে আসবে বা বাসায় স্মৃতি হিসেবে পড়ে থাকবে কিনা?
খেলনা কেনার ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের উপর গুরুত্ব দিন : দামে নয়, বাচ্চার খেলনা কেনার ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অযথা কিছু কিনবেন না। কারণ, বাচ্চারা দাম নয়, সৌন্দর্যই পছন্দ করে।
খাবারের পরিকল্পনা করুন : শিশুরা সাধারণত কম খায়- এটা সবাই জানে। কিন্তু দেখা যায়, তাদের জন্য অনেক বাবা-মা বাজার থেকে গাদা গাদা খাবার কিনে নিয়ে আসছেন; যা অন্যরা খায় বা অনেকটা নষ্ট হয়। তাই আগে থেকেই বাচ্চার জন্য খাবারের পরিকল্পনা রাখতে হবে। বেশি খাবার নয়, পুষ্টিযুক্ত খাবারে গুরুত্ব দিতে হবে। ফলে খাবারে অতিরিক্ত খরচ কমে যাবে।
শিশুর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিতব্যয়ী হউন : শিশুর জন্মদিন বা শিশুর বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান করার আগে ভাবতে হবে। বড় কেক না কিনে ছোট কেক কিনুন। অধিকতর পেশাদারি ও আনুষ্ঠানিকতার ভারে নিজেকে গুলিয়ে দিলে খরচ স্বভাবতই বেশি হবে।
শিশুর আগমনকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করুন : অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ না হয়ে শিশুর আগমণকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ মার্চ ২০১৬/শরীফ