কাল পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। ১৪২২ পেছনে ফেলে ১৪২৩ এ পা রাখবে পুরো বাঙালি। দিনটি উদযাপনের জন্য মুখিয়ে আছে পুরো বাংলাদেশ। তবে নববর্ষ আসার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র গরম। এই গরমে মানুষের জীবন যেন পুরো অস্থির হয়ে উঠেছে। তাই বলে নববর্ষ উদযাপনে কিন্তু কোনো ক্ষান্ত দেবে না তারা। তবে কাঠফাঁটা এই গরম সত্ত্বেও কীভাবে বৈশাখ উদযাপন শান্তি ও সতেজতার সঙ্গে করা যাবে এ সম্পর্কে করণীয় নিয়েই নিচে আলোচনা করা হলো :
ছাতা ব্যবহার করুন : সারাদিন ঘোরাঘুরির সময় খেয়াল রাখবেন যেন মাথায় রোদ না লাগে। রোদ থেকে মাথাকে রক্ষা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনোভাবেই যেন মাথায় সরাসরি রোদ না পড়ে। এজন্য সঙ্গে ছাতা রাখতে পারেন। আর মেয়েরা স্কার্ফ পরতে পারেন। ছেলেরা প্রয়োজনে ক্যাপ ব্যাবহার করতে পারেন।
সঙ্গে পানি রাখুন: গরমে প্রচুর ঘাম বের হওয়ায় শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই পহেলা বৈশাখে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে সঙ্গে পানি নিন। সেটি বোতলজাত হতে পারে, আবার পারলে অন্যভাবে নেওয়া যেতে পারে। আর ঘোরাঘুরির সময় কিছুক্ষণ পর পর পানি পান করুন। পানিশূন্যতা রোধে এর চেয়ে কার্যকরী উপায় আর নেই। পারলে সারাদিনে অন্তত একবার পানিতে স্যালাইন মিশিয়ে খেতে পারেন।
নিয়মিত খাবার খান: প্রচণ্ড গরমের মধ্যে নিয়মিত খাবার খাওয়া অবশ্য করণীয়। এদিন ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে যেন খাবার গ্রহণে অনিয়ম না ঘটে। যারা কোনো এক বেলার খাবার বাদ দেন কিংবা ডায়েটিং করেন তারা অন্তত এদিন ভুলে গিয়েও এসব করবেন না।
সাধারণ খাবার খান: পহেলা বৈশাখে আমিষযুক্ত খাবার শরীরে বিপত্তি ঘটাতে পারে। তাই যতটা সম্ভব নিরামিষভোজী হন। এদিন গরু ও খাসির মাংস, মাছ, মুরগির মাংস, সামুদ্রিক প্রাণীসমৃদ্ধ খাবার কম খান। এসব খাবার যেমন অতিরিক্ত ঘাম নিঃস্বরণ করে তেমনি হজমে সমস্যা করে। ফলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চা-কফিকে না বলুন : এদিন চা-কফি ও কৃত্রিম সসকে না বলতে হবে। কারণ শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য চা ও কফিই যথেষ্ট। এসব পানীয়তে ব্যবহৃত চিনি শরীরের পানি কমিয়ে দেয়।
পানিসমৃদ্ধ খাবার খান: পহেলা বৈশাখে খাবারের তালিকায় রিচ ফুড কমিয়ে পানি সমৃদ্ধ খাবার বাড়িয়ে দিন। পানি সমৃদ্ধ ফল ও খাবার খান। সময় করে সারাদিনে অন্তত একবার ডাবের পানি বা কোনো ফলের রস খাওয়ার চেষ্টা করুন। শুকনো, তেল সমৃদ্ধ ও অতিরিক্ত মসলাদার খাবার থেকে দূরে থাকুন। যতদূর সম্ভব বার্গার ও নানা ধরনের ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।
ত্বকের যত্ন : পহেলা বৈশাখে একটু বেশি গরম লাগলেও রোদের হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে হবে। তাই কষ্ট করে হলেও একটু লম্বা জামা কাপড় পরুন। এতে করে রোদ সরাসরি ত্বক স্পর্শ করতে পরবে না। আর তা অস্বস্তিকর মনে হলে ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে ভালো মানের এবং বেশি পরিমাণে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ এপ্রিল ২০১৬/শরীফ