সৌদি আরবে রোজা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের একদিন আগে। সেখানে প্রথম রোজা থেকেই মানুষের কাজের এবং দিনযাপনের শিডিউল বদলে যায়। মানুষ দুপুরের পর কাজ শুরু করে এবং সেহেরি পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। সেহেরির পর তারা ঘুমাতে যায়।
সৌদি আরবে ইফতারে মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। হালুয়ার নানা রকম আইটেম তৈরি করা হয়। এসব হালুয়ার রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বাহারি নাম। যেমন: কোনাফা, ত্রোম্বা, বাছবুচা। ইফতারের আরেকটি অন্যতম আইটেম হলো সাম্বুচা। এটি দেখতে আমাদের সমুচার মতো। ভেতর থাকে মাংসের কিমা। তবে সাম্বুচায় মরিচ থাকে না। ইফতারে আরও থাকে সালাতা (সালাদ), সরবা (স্যুপ), জাবাদি (দই), লাবান, খবুজ (ভারি ছোট রুটি) বা তমিজ (ডিশ এন্টেনার মতো বড় রুটি)। ইফতারের সময় সৌদিরা বড় এক প্লেটের ওপর বিশেষ ধরনের পলিথিন বিছিয়ে খাবার সাজায়। তারপর সবাই একসঙ্গে ইফতার করেন।
সৌদি রেসিপি: চিকেন অ্যান্ড ওটস স্যুপ
চিকেন অ্যান্ড ওটস স্যুপ খুব সহজে তৈরি করা যায়। এই চমৎকার স্বাস্থ্যকর স্যুপটি সৌদি নারীরা বাড়িতেই তৈরি করেন। দেশটির বাসিন্দারা রমজান মাসে ইফতারে চিকেন অ্যান্ড ওটস স্যুপ খেতে পছন্দ করেন। বেশ সাদামাটা রেসিপি আর খুবই কম সময়ে তৈরি করা যায় স্যুপটি। শিশু এবং বৃদ্ধদের কাছে চিকেন অ্যান্ড ওটস স্যুপ জনপ্রিয়।
উপকরণ:
- আধা টেবিল চামচ জলপাই তেল (অলিভ ওয়েল)
- ২ টুকরো হাড় ও চামড়াবিহীন মুরগির বুকের মাংস, ছোট ছোট কিউব করে কাটা
- ৮ কাপ চিকেন ব্রথ
- ১০ টেবিল চামচ ওটস
- ১টা বড় জুকিনি, স্লাইস করা (জুকিনি দেখতে অনেকটা শসার মতো)
- ২ চা চামচ এলাচ গুড়া
- ২ চা চামচ জিরা
- আধা সাদা পেঁয়াজ, চাক চাক করে কাটা
- ১টা রসুনের কোয়া, চাক চাক করে কাটা
- লবণ ও মরিচ স্বাদমতো
প্রণালী:
চুলায় সসপ্যান দিন। আগুন মাঝারি আঁচে থাকবে। সসপ্যান গরম হলে অলিভ ওয়েল দিন। এরপর চাক চাক করে কাটা পেঁয়াজ এবং রসুন ভাজুন। মুরগির মাংস দিয়ে দিন। এপিঠ-ওপিঠ উল্টে-পাল্টে বাদামী রঙা করে ভাজুন। এরসঙ্গে এলাচ গুড়া, জিরা এবং ওটস দিয়ে নেড়েচেড়ে দিন।
এবার স্লাইস করা জুকিনি যোগ করুন। তারপর চিকেন ব্রথ (অনেকক্ষণ ধরে সেদ্ধ করা মুরগির ঝোল) দিয়ে দিন। একটু পর পর নেড়ে দিন। ঘন হয়ে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ জুন, ২০১৬/ আফরোজ