স্বাভাবিক প্রোজেস্টেরন হরমোন সফল গর্ভধারণে কাজ করতে পারে। আমেরিকান সোসাইটি ফর রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিনের আন্তর্জাতিক জার্নাল 'ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি'-তে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২৫ শতাংশ নারী গর্ভপাতের শিকার হন। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই এমনটা ঘটে। অনেকের জীবনে প্রতিবারই গর্ভধারণের পর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকে।
ইউনিভার্সিটি আব ইলিনয়েসের বিশেষজ্ঞরা এই নারীদের সফল গর্ভধারণের জন্য প্রাকৃতিক প্রোজেস্টরনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেন। গর্ভপাত ঘটেছে এমন ১১৬ জন নারীকে বেছে নেয়া হয়। এদের সবার দুই বা ততোধিক বার এ ঘটনা ঘটেছে। ডিম্বোস্ফোটনের দুই দিন আগেই প্রোজেস্টেরন প্রয়োগের মাধ্যমে এসব নারীদের গর্ভপাত এড়ানো যায় কিনা গবেষণায় তা দেখা হয়।
প্রাকৃতিক প্রোজেস্টেরনকে বলা হয় 'বায়ো-আইডেন্টিক্যাল' হরমোন। এই হরমোনে পুরোপুরি ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন প্রোজেস্টেরনের মতোই মলিকিউল রয়েছে। কিন্তু প্রচলিত সিনথেটিক হরমোনে রয়েছে কিছু রাসায়নিক পদার্থ।
ডিম্বোস্ফোটন এবং গর্ভকালীন অন্যান্য বিষয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রোজেস্টেরন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রাকৃতিক প্রোজেস্টেরন নারীকে সুষ্ঠু গর্ভধারণে সহায়তা করে। যে নারীরা এই পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক প্রোজেস্টেরন গ্রহণ করেন, তারা সফলভাবে গর্ভধারণ করেছেন।
গর্ভপাতের কারণ ধরতে এন্ডোমেট্রিয়াল স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই পদ্ধতিতে এনসাইক্লিনই নামের এক মলিকিউলার মার্কারের বৈশিষ্ট্য পরীক্ষার মাধ্যমে যেকোনো প্রকারের অস্বাভাবিক এন্ডোমেট্রিয়াল বিকাশ শনাক্ত করা সম্ভব। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব যে, কোন নারীরা প্রোজেস্টেরন চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে উপকার পেতে পারেন।
এ গবেষণাকে আরো এগিয়ে নিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল জরুরি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
বিডি প্রতিদিন/১২ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা