নাটক-সিনেমার রোম্যান্টিক দৃশ্য দেখে অনেকেই কেঁদে ফেলেন। আবেগে ভেসে গাল বেয়ে পড়ে নোনা পানি। যাদের এ রকমটা হয় তাদের কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি বোধহয়। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সামনে বেশ কয়েকবার অপ্রস্তুত হতে হয়েছে। বেশ কয়েকবার হাসির রোল উঠেছে তাদের আবেগের এই অযাচিত বহিঃপ্রকাশ নিয়ে।
তবে গুণি-জ্ঞানিরা বলে গেছেন, ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে…’৷ তাই নিজের আবেগের বহিঃপ্রকাশ নিয়ে অতটা বিব্রত হবেন না। বরং এটি খুশির বিষয়।
পল জে. জাক নামে এক বিজ্ঞানী অন্তত এমনটাই বলছেন। তার কথায়, যে ব্যক্তিদের মধ্যে সিনেমা দেখার সময় হাসি-কান্নার মত আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। তারা অনেক বেশি শক্ত মানসিকতার মানুষ হন। আর যারা ভাবলেশহীনভাবে সিনেমা দেখেন তারা মানসিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রকৃতির হয়ে থাকেন। কারণ নিজেদের আবেগ তারা প্রকাশ্যে আনতে চান না।
সাইকোলজি টুডে নামে এক প্রতিবেদনে জাক লিখেছেন, সিনেমা-নাটকের মতো বিনোদনমূলক কিছু দেখলে মানুষের শরীরে অক্সিটোসিন লেভেল বেড়ে যায়। এর ফলে মানুষের আবেগ-অনুভূতিগুলো অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে যায়। হাসির কোনো সিনেমা দেখলে তা শেষ হয়ে গেলেও মানুষের ঠোঁটের কোনে যেমন হাসি থেকে যায়, তেমনি দুঃখের সিনেমা মানুষের জীবনের না পাওয়ার বেদনাগুলোকে বেশি করে জাগিয়ে দেয়। আর যারা বাইরে মুক্ত মনে এই আবেগগুলোর বহিঃপ্রকাশ করতে পারেন, তারা প্রকৃতপক্ষে ভালো মনের অধিকারী হন এবং ভাল থাকেন।
বিডি প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম