যৌবনে যৌন উন্মাদনা কেবলমাত্র প্রকৃতির নিয়মেই হয়। বৈজ্ঞানিক মতে এর বিশ্লেষণ করলে জানা যায় যে, ‘কিসপেপটিন’ নামে এক হরমোনের কারণেই মানুষের মনে যৌন চাহিদার উদ্রেক ঘটে।
বয়ঃসন্ধির সময় ও তার পরে, কিসপেপটিন হরমোন মানুষের মস্তিষ্কে যৌন আবেগের সৃষ্টি করে। কিন্তু, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই এই হরমোনের কার্যক্ষমতাও কমতে শুরু করে। এখানেই এগিয়ে এসেছেন লন্ডনের এক দল বৈজ্ঞানিক। তাঁদের মতে, কিসপেপটিনের একটি ডোজ-ই পুনরায় মস্তিষ্কে সঞ্চার করতে পারে যৌন আবেগ।
গবেষণায় ২৯ জন যুবকের উপর এই হরমোন প্রয়োগ করা হয়। পরে এমআরআই করে দেখা যায় যে, যৌনতা ও রোম্যান্টিকতার জন্য মস্তিষ্কের যে অংশ দায়ী, তা বেশ সক্রিয় হয়েছে এই হরমোনের কারণে। যাঁরা এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের একাংশ এও জানিয়েছেন যে এই হরমোন নেওয়ার পরে তাঁদের ‘মুড’ পরিবর্তনও হয়েছে। ফলে, বৈজ্ঞানিকরা মনে করছেন, কিসপেপটিন হরমোন অবসাদ কমাতেও কাজে লাগবে।
গবেষণায় যুক্ত বৈজ্ঞানিকদের মতে, এখনও আরও বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরেই তাঁরা এই কিসপেপটিন হরমোন বাজারে আনতে সক্ষম হবেন। ইতোমধ্যে গবেষকরা এটির নাম দিয়েছেন— মেন্টাল ভায়াগ্রা।
বিডি প্রতিদিন/২৮ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল