অতিরিক্ত রাত জাগার কারণে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যেতে থাকে। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের একটি প্রকাশনায় বলা হয়, একজন সুস্থ মানুষ প্রতি ৯০ মিনিট পর পর ঘুমের গভীর থেকে গভীরতর ধাপের দিকে যায়। যার মধ্যে সবচেয়ে গভীর ঘুমের সময় মানুষের ফিজিওলজিক্যাল পরিবর্তন আনে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অনিয়মিত ঘুমের কারণে ঘুমে বিঘ্ন ঘটে, ফলে মানুষ গভীর ঘুমের ধাপ পর্যন্ত যেতেই পারে না। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
তাছাড়া, প্রাকৃতিক ঘুমের সময়ের ব্যাঘাত ঘটিয়ে অন্য সময়ে ঘুমানো মনোযোগ ঘাটতির জন্ম দিতে পারে। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে গলা কিছুটা ভারী হয়ে যায়। নিয়মিত এমন হলে কণ্ঠস্বরে স্থায়ী একটি পরিবর্তন আসতে পারে। এতে করে যারা বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল মিডিয়ায় কাজ করার চিন্তা করছ, তারা রাত জাগার বিষয়ে সিরিয়াসলি ভাব। রাত জাগলে সাধারণত দিনে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়। ফলে সারা দিন ফাস্ট ফুড থেকে শুরু করে অন্যান্য খাবারের দিকে আগ্রহ থাকে, যা ওজন বাড়াতে পারে। আর বাড়তি ওজন নিয়ে পড়াশোনার মতো ‘ভারী’ কাজ করাও কিন্তু ঝামেলার।
এছাড়া, রাত জেগে পড়া চোখের জন্যও ক্ষতিকর। যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট ওয়েস্ট আই ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, রাত জাগার ফলে আই স্পাজম বা চোখে খিঁচুনি হতে পারে, যাকে মায়োকিমিয়া বলা হয়। ড্রাই আই জটিলতাও দেখা দিতে পারে। অনিয়মিত ও অপর্যাপ্ত ঘুমের সবচেয়ে বড় মানসিক সমস্যা এটি। এর ফলে বিষণ্নতা, সিজোফ্রেনিয়া ও ঘন ঘন ভুলে যাওয়ার রোগ আলজেইমার্স হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার