ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রোর আরেক সাফল্য। ক্যাপসিকামের সবচেয়ে উন্নত জাত গোল্ডেন ইয়েলো বা Golden California Wonder-এর বাম্পার ফলন। এদেশে এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি জাত। সারা বিশ্বেই গোল্ডেন ইয়েলোজাতটি জনপ্রিয় এবং দামি ফসল। এর রং বাজারে প্রচলিত হলুদ বা লাল ক্যাপসিকামের মত নয়। সোনালী ও গাঢ় অরেঞ্জ। যা আসলেই দুর্লভ। ঔষধি গুণসম্পন্ন এই জাতটি আকারে অনেক বড় এবং মাংসল, সুগন্ধিযুক্ত, হালকা মিষ্টি এবং খুবই সুস্বাদু।
বাংলাদেশে এই প্রথম গোল্ডেন ইয়েলোর বাণিজ্যিক চাষ ফ্রুটস ভ্যালিতেই শুরু হল। তবে এ জন্য অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। বাংলার মাটি আসলেই সোনার চেয়ে খাটি তা আবার প্রমাণ হল।
আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে এক বন্ধুর পাঠানো মাত্র ৫ গ্রাম বীজ পেয়ে পরীক্ষামূলক চাষ করেছিলাম চাঁদপুরের ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রোতে। খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম এদেশের আবহাওয়ায় এর ভাল ফলন হবে কি না। কিন্তু আমরা পরীক্ষামূলক চাষে সফল হয়েছি। আজই প্রথম ফলন সংগ্রহ করলাম। প্রতিটির গড় ওজন আড়াইশ’ থেকে ৩শ’ গ্রাম। যা আশা করিনি। শেড নেট হাউসে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষ করা গাছ পাকা গোল্ডেন ইয়েলো ক্যাপসিকাম শুধু ভোক্তা পর্যায়েই বিক্রি করা হবে।
সাধারণ হলুদ ক্যাপসিকামের তুলনায় বিশ্বে এটি বেশি দামে বিক্রি হয়। আমরাও তা করতে পারতাম। কিন্তু বেশি মুনাফা আমাদের লক্ষ্য নয়। তাই প্রতি কেজির মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র সাড়ে ৩শ’ টাকা। আগে বুকিং দেয়া সীমিত কিছু ভোক্তাকেই শুধু এই ক্যাপসিকাম সরবরাহ করা হবে। কারণ এটি ফ্রুটস ভ্যালির সীমিত বীজ নিয়ে প্রথম পরীক্ষামূলক চাষ। আগামীতে বড় আকারে চাষ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন