জ্বালানি সংকট একই সাথে এর অধিক ব্যয় নিয়ে দিশেহারা পৃথিবী। দিনকে দিন জ্বালানি সংকট বাড়ছেই। তবে আশার কথা হলো সম্প্রতি বিজ্ঞানিরা গবেষণা করে দেখেছেন 'কুইনান' জৈব যৌগের সাহায্যে ভবিষ্যতে জ্বালানি শক্তি সঞ্চয় করা সম্ভব।
এখন আমরা ব্যাটারির সাহায্যে আমাদের প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করে রাখি এবং পরবর্তীতে তা পুনঃব্যবহার করে থাকি, তবে এতে পূর্ণ শক্তি ব্যবহার সম্ভব হয়না কিছু শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। বিজ্ঞানিরা দীর্ঘ সময় ধরে নানান গবেষণা চালিয়েছেন। তারা খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছেন কিভাবে একটি সাশ্রয়ী কিন্তু অত্যন্ত কার্যকরী শক্তি সঞ্চয়ী ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।
অবশেষে বিজ্ঞানিরা আবিষ্কার করেছেন 'কুইনান' জৈব যৌগের সাহায্যে শক্তি সঞ্চয় করে রাখা এবং তা পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব। এটি জৈব যৌগের খুব দ্রুত এবং সহজে নিজে থেকেই চার্জ হওয়া এবং শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম।
এছাড়াও গবেষকরা এটিকে জ্বালানি সংগ্রহ করার জন্য ব্যবহার যোগ্য করার পেছনে আরও কিছু সুবিধার কথা জানিয়েছেন। গবেষকরা বলেন, 'কুইনান' পানিতে দ্রুত গুলে যায়, যা একে জ্বালানি সঞ্চয় করার দ্রবন হিসেবে ব্যবহারে আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করতে বিজ্ঞানিদের উৎসাহ দিয়েছে। অন্যদিকে, 'কুইনান' হচ্ছে খুবই স্থিতিশীল, সহজলভ্য, পরিবর্তন যোগ্য, এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ যৌগ।
যেহেতু 'কুইনান' পানিতে খুব সহজে গুলে যায় সেহেতু একে ব্যবহার করে ব্যাটারি তৈরির ক্ষেত্রে শক্ত আবরণ ব্যবহার করতে হবেনা। এটি লিকুইড ব্যাটারি অর্থাৎ তরল ব্যটারি হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। বিজ্ঞানিরা এরই মাঝে এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চয়ী 'কুইনান' ব্যাটারি ব্যবহার করেছেন যেখানে সাধারণ ব্যাটারি থেকে এটি প্রায় ২৭ ডলারের কেমিক্যাল খরচ কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে!
এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় 'কুইনান' দিয়ে তৈরি হওয়া ব্যাটারি আমাদের বিদ্যুৎ সঞ্চয় করার ক্ষেত্রে নবযুগের সূচনা করবে। তবে ঠিক কবে নাগাদ 'কুইনান' এর তৈরি ব্যাটারি বাজারে আসবে তা এখনো জানা যায়নি।
দি টেক জার্নাল