সম্পর্কটা বেশি দিনের নয়। প্রথমে দেখা-দেখি। পরে কাছাকাছি। শেষে শারীরিক সম্পর্ক- ব্যাস, এরপরই প্রেমিকাকে খুনের নেশা। পরিকল্পনাও সাজানো হয়েছিল সেভাবে। কিন্তু বিধি বাম। প্রেমিকাকে মারতে গিয়ে নিজেই এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে চীনের লী মেওলিন। অবশ্য প্রেমিকা জু ফেনেরও চিকিৎসা চলছে হাসপাতালের একই কক্ষে।
ঘটনাটা হলো- ৩৬ বছর বয়সী লী মেওলিন রাতের অন্ধকারে অপহরণ করে তার গর্ভবতী প্রেমিকা জু ফেনকে৷ উদ্দেশ্য ছিল তাকে পুড়িয়ে মারা৷ নিজের গাড়ির ভিতর গ্যাসের ট্যাঙ্কের সঙ্গে সে তার প্রেমিকাকে বেঁধে দেয়৷ কিন্তু পুলিশের সাইরেন শুনেই সে গাড়ির ট্যাঙ্কে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ গাড়ি থেকে নেমে লী পালানোর চেষ্টা করলেও বাধ সাধে পুলিশ৷ চারদিক থেকে তাকে ঘিরে ফেলা হয়৷ ততক্ষণে গাড়ির গ্যাসের ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে দু'জনকেই গাড়ি থেকে বের করে হাসপাতালে ভর্তি করে৷
লিয়ের অবস্থা এতটাই খারাপ যে তাকে বাঁচানো যাবে কিনা সন্দেহ৷ জুয়ের অবস্থাও গুরুতর। তবে চিকিৎসকেরা তাকে ও তার গর্ভজাত সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন৷ এদের দুজনকে হাসপাতালের একই ঘরের মধ্যে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে৷ জানা গেছে, দুজনের ভালবাসা খুব বেশি পুরোনো নয়৷ যৌন সম্পর্কের আগে পর্যন্ত এরা অপরিচিতই ছিল৷ কিন্তু সহবাসের পর একে অপরের প্রতি আকর্ষিত হয়ে পড়ে। প্রেমের জোয়ারে ভেসে লীয়ের সম্পর্কে কিছু না জেনেই তার সঙ্গে লিভইন রিলেশন শুরু করে জু৷
জু ফেনের চাচা বু চিন জানিয়েছেন, তারা বহুবার জুকে বুঝিয়েছিলেন যাতে সে লিভ ইন করার আগে মায়োলিনের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে নেয়। কিন্তু জুয়ের অন্ধ বিশ্বাস ভাঙতে পারেননি তারা৷
চিন আরও জানান, ‘ঘটনার রাতে মায়োলিন হঠাৎই জুয়ের উপর চিৎকার করতে শুরু করে৷ জু নাকি তার বাবা-মা কে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে৷’