মাইকেল স্কুয়ার নামে এক মার্কিন কিশোরের অভিযোগ, সম্প্রতি জেসমিন ট্রিডভিট নামের যে মডেল তৃতীয় স্তন সংযোজনের দাবি করেছেন তিনি তাকে একদা যৌনদাস হিসেবে আটকে রেখেছিলেন। বন্দিদশায় ছুরি দিয়ে তার বুকে নাম লেখার চেষ্টাও করেন ট্রিডভিট।
স্কুয়ার অভিযোগ করে বলেন, জেসমিনের আসল নাম আলিশা হেসলার। আলিশার সঙ্গে অনলাইনে তার যোগাযোগ হয়। অধিকাংশ সময় যৌনতা নিয়ে তাদের মধ্যে আলাপ হতো। একসময় ফ্লোরিডার টাম্পায় আলিশার বাড়িতে তার সঙ্গে থাকার আমন্ত্রণ পান তিনি। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তার বাড়িতে পৌঁছালে তাকে একটি কুকুরের খাঁচার মধ্যে থাকতে দেওযা হয়। এবং গলায় 'ক্রীতদাস' লেখা একটি গলাবন্ধ ঝুলিযে দেওয়া হয়।
এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে স্কুয়ার তার বুকের দাগ দেখিয়ে জানান, সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকতে হতো। একদিন জেসমিন একটি ছুরি দিয়ে তার বুকে নিজের নাম লেখার চেষ্টা করেন। তখন স্কুয়ার চিৎকার করতে থাকলেও তিনি থামেনি।
ব্রিটিশ দৈনিক মিররের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেসমিন তার ফেসবুক পেজে স্কুয়ারের দাবি অস্বীকার করেছেন। তার এ অভিযোগ খুবই হাস্যকর বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জেসমিন যুক্তরাষ্ট্রের রেডিও স্টেশন রিয়াল রেডিও ১০৪.১ কে বলেছেন, সার্জারি করে তৃতীয় স্তন সংযোজন করিয়েছেন তিনি। এ জন্য তাকে গুণতে হয়েছে ২০ হাজার ডলার। তৃতীয় স্তন সংযোজনের জন্য তিনি প্রায় ৫০ ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তাদের কেউ রাজি হননি। সর্বশেষ এক ডাক্তার ২০ হাজার ডলারের বিনিময়ে এ কাজ করতে রাজি হন।
তিনি আরো বলেছিলেন, ‘কখনও কারো সঙ্গে ডেট করতে চাই না। তাই আমার প্রতি পুরুষরা যাতে আকৃষ্ট না হন সে জন্যই এ পথ বেছে নেই।' তবে সমালোচকরা পুরো কাহিনীকে একটি গুজব বলে দাবি করেছেন।