পিতৃত্বের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন স্পেনের বিতর্কিত রাজা কার্লোস। ২০১২ সালে বেলজিয়ামের এক নারী নিজেকে স্পেনের প্রাক্তন রাজা হুয়ান কার্লোসের ঔরসজাত সন্তান বলে দাবি করেছিলেন। এই দাবির বিষয়টি প্রমাণের জন্য পিতৃত্ব পরীক্ষার ব্যাপারে অবশেষে একমত হয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
ইনগ্রিদ সারটিয়াউ নামের ওই নারী দাবি করেছেন, ১৯৬০ সালের দিকে তার মায়ের সঙ্গে রাজা কার্লোসের সম্পর্ক ছিল। রাজা কার্লোস সে সময় বিবাহিত ও স্পেনের যুবরাজ ছিলেন। তার এই দাবির পর রাজপরিবারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করেন। কিন্তু এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তারা। এখন ওই মামলা থেকে দায়মুক্তি পাবেন না কার্লোস। তাই মামলার শুনানিও শিগগিরই শুরু হতে পারে বলে মত দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। ২০১২ সালে এই দুই পিতৃত্বের মামলা করা হলেও দেশের রাজা হওয়ার কারণে সে সময় কার্লোসকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। কিন্তু রাজার সন্তান দাবি করা অন্য আরেক নারী আলবার্তো সোলারের মামলাটি বাতিল করে দেন আদালত। ১৯৫৬ সালে বার্সোলোনায় জন্ম নেওয়া সোলার মায়ের সঙ্গে রাজা কার্লোসের সম্পর্ক ছিল। এদিকে কার্লোস এই মামলার জবাব দেওয়ার জন্য ২০ দিন সময় পাবেন। প্রাক্তন এই রাজাকে হয়তো পিতৃত্ব পরীক্ষা করাতে বলা হবে। এমনকি এই মামলার বিষয়ে গণশুনানিও হতে পারে।
উল্লেখ্য,চরম অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে ব্যয়বহুল হাতি শিকার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, নারী কেলেঙ্কারি ও রাজপরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির কারণে রাজা কার্লোসের জনপ্রিয়তায় ধস নামে। এরইমধ্যে গত জুনে ছেলে ষষ্ঠ ফিলিপের কাছে ক্ষমতা দিয়ে অবসরে যান কার্লোস। কার্লোসের মেয়ে ক্রিস্টিনার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ও দুর্নীতির মামলা চলছে। বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ জানুয়ারি, ২০১৫/ রোকেয়া।