পাবনার চাটমোহর উপজেলার বরদানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেটে কথিত ‘ভূত’ দেখে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। পরে অসুস্থদের কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। ঘটনাটা গত মে মাসের। পরে খাসি খাওয়ানোয় নাকি সেই ‘ভূত’ পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেন। অসুস্থ এক ছাত্রীর কথামতো ভূত থেকে রক্ষা পেতে দুটি খাসি জবাই, শিরনী বিতরণ ও মিলাদ মাহফিল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
লৌমহর্ষক ভূতবিষয়ক ঘটনার দু’মাস পেরিয়ে গেছে। বর্তমানে স্কুলটির এখন কি অবস্থা, সেখানে কি সেই ভূত এখনো আছে কিনা জানতে চাইলে স্থানীয় ছাইকোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান তোতা জানান, ‘আসলে ভূত বলে কিছু ছিল কিনা আমরা জানি না। বিষয়টি যদিও আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে অবিশ্বাস্য, তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য খাসি খাওয়ানো ও শিরনী বিতরণীর পর স্কুলের পরিবেশ এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেকের অনুরোধে আমরা খাসি জবাই করে মিলাদের আয়োজন করেছিলাম। আসলে ভূত বলে কিছু ছিল কিনা জানি না। তবে বর্তমানে স্কুলের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
অপরদিকে, ওই বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বরদানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, স্কুলটি ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরে আমরা জানতে পেরেছি, স্কুলের টয়লেটটি হিন্দুদের শ্মশানের উপর নির্মিত। তবে আমরা এগুলো বিশ্বাস করিনি। কিন্তু অভিভাবকরা আমাদের পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘যদি খাসি খাওয়ানো না হয় তাহলে আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবো না। পরে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ওই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকসহ গ্রামের মানুষদের সাথে আলোচনা করে একটি ভোজের আয়োজন করি। বর্তমানে স্কুলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ জুলাই, ২০১৫/ রাসেল/ রশিদা