জার্মান একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের জীবনযাপন নিয়ে গবেষণা নেহাত কম হয়নি। এখনও হচ্ছে। তবে এবার হিটলারের যৌনাঙ্গ নিয়ে গবেষণায় নেমেছেন ইতিহাসবিদরা। গত বছর এক গবেষক দাবি করেছিলেন, হিটলারের অণ্ডকোষ দুটি নয়, একটি ছিল। এবার দুই ইতিহাসবিদ দাবি করলেন, হিটলারের যৌনাঙ্গ অস্বাভাবিক রকমের ছোট ছিল। পুরোনো একাধিক মেডিকেল রিপোর্ট ঘেঁটে এই তথ্য দিয়েছেন জোনাথন মায়ো ও এমা ক্রেগি। সম্প্রতি প্রকাশিত হিটলার্স লাস্ট ডে : মিনিট বাই মিনিট বইয়ে তারা এ দাবি করেছেন।
মায়ো-ক্রেগি জানান, হিটলার হাইপোসাডিয়াস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। প্রতি ৩০০ পুরুষের মধ্যে একজনের এ রোগ দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে বংশগতও হতে পারে। এই রোগের কারণে যৌনাঙ্গ অস্বাভাবিক রকমের ছোট হতে পারে। এছাড়া মূত্রনালির মুখও অনেক ক্ষেত্রে লিঙ্গের নিচের দিকে অবস্থান করতে পারে। এই অঙ্গবিকৃতির কথা হিটলারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক থিওডর মরেলও জানতেন। মরেল এ কারণে হিটলারকে যৌনশক্তিবর্ধক ওষুধ ও কোকেন দিতেন।
হিটলারের যৌনাঙ্গ যে স্বাভাবিক নয়—এই রটনা দীর্ঘদিনের। গত ডিসেম্বরে এ নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন জার্মান ইতিহাসবিদ পিটার ফ্লিক্সম্যান। দুনিয়া কাঁপানো নাৎসি নেতার একটিই অণ্ডকোষ ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
হিটলারের ডান দিকের অণ্ডকোষটি যে অদৃশ্য ছিল, ১৯২৩-এর একটি মেডিকেল রিপোর্টে সেই তথ্য দিয়েছিলেন চিকিৎসক জোসেফ স্টেইনার ব্রিন। হিটলার তখন মিউনিখের ল্যান্ডসবার্গ জেলে। কারা চিকিৎসক স্টেইনারই তার দেহ পরীক্ষা করেন। ওই সময়কার নথির ওপর ভিত্তি করেই হিটলার হাইপোসাডিয়াস রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন জোনাথন-এমা।
তবে এত কিছুর পরও বান্ধবী ইভা ব্রাউন ছাড়াও একাধিক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল হিটলারের।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ