বাড়িতেই অন্তত ৩-৪ দিন ধরে বাবার দেহ আগলে বসে রইল ছেলে-মেয়ে। দু'জনই মানসিক ভারসাম্যহীন। বাবা যে মৃত, সে হুঁশ ছিল না তাঁদের। প্রচন্ড দুর্গন্ধে টনক নড়ে প্রতিবেশীদের। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। সম্প্রতি এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে।
দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের কাছেই দত্ত বাড়ি। কয়েকদিন ধরেই দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। শুক্রবার এই বাড়ির মধ্যে ঢুকে চোখ কপালে ওঠে সবার। ঘরের মধ্যে খাটের ওপর পড়ে ছিল বৃদ্ধ করুণাময় দত্তের পচা-গলা দেহ। পাশেই বসে ছেলে সুদীপ্ত ও মেয়ে স্বস্তিকা, দুজনই। ব্যবহার এমন, যেন সব কিছুই স্বাভাবিক।
এমএসসি পাশ, বছর সাতচল্লিশের স্বস্তিকা। পেশায় শিক্ষিকা ছিলেন। তবে এখন সে সব অতীত। বাজারহাট থেকে বাড়ির সমস্ত কাজ। সবই একাহাতে করতেন করুণাময় বাবুর স্ত্রী মণীষা দত্ত। চার-পাঁচ দিন আগে মাথা ফেটে যাওয়ায়, হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এরপরই যত কাণ্ড।
প্রতিবেশিদের ধারণা, মাঝের কদিন বাড়ির কারোর খাওয়াও হয়নি। তাই এদের এখন কীভাবে সাহায্য করা যায়, সেটাই বুঝতে পারছেন না তারা। আত্মীয়রা ফিরেও দেখে না। বাড়িতে আর কেউ নেই। চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মুখে দু-দুটি মানুষের ভবিষ্যৎ।
বিডি-প্রতিদিন/১২ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব