ঘটনাটি ছিল বেদনাকাতর। মিরাট হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছিল মেয়ের ৷ কিন্তু মেয়ের দেহ নিয়ে একা বাড়ি ফিরবেন কেমন করে মা? বাড়ি তো সেই ৫০ কিলোমিটার দূর ৷ সন্তানহারা ইমরানা তাই সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷ ১০৮ নম্বরে ডায়াল করে এমার্জেন্সি অ্যাম্বুল্যান্সও ডেকেছিলেন ৷ যদি দয়া করে ঘর অবধি পৌঁছে দেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক ৷ কিন্তু সরকারের নিয়োগ করা অ্যাম্বুল্যান্স আসলেও, ইমরানার সমস্যা কোন সমাধান হলো না। অ্যাম্বুল্যান্স চালক সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দিতে লাগবে ১৫০০ টাকা৷ তবেই ইমরানা ও তাঁর মৃত সন্তানকে গ্রামে পৌঁছে দেবেন৷ কিন্তু এত টাকা ছিল না ইমরানার৷ তাই সেই রাতে আর ঘরে ফেরা হল না মৃত মেয়েকে নিয়ে৷
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্র মতে, মিরাট হাসপাতালের বাইরে দু’বছরের মৃত সন্তানকে নিয়ে রাত কাটালেন মা৷পরদিন সকালে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করে মৃত মেয়েকে নিয়ে গ্রামে ফিরলেন তিনি৷
উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা আবারো মনে করিয়ে দিল ওড়িশার কালাহান্ডির কথা৷ উত্তরপ্রদেশের ইমরানার মতো ওড়িশার দানা মাঝি মৃত স্ত্রী’কে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন অ্যাম্বুল্যান্স পাননি৷ স্ত্রী’র দেহ তাই কাঁধে নিয়ে হেঁটে গিয়েছিলেন প্রায় ১০ কিলোমিটার৷ এই ঘটনার পর সারা দেশ উত্তাল হয়ে উঠলেও অবস্থার যে বিশেষ কোন পরিবর্তন হয়নি তা ফের বুঝিয়ে দিল উত্তর প্রদেশের এই ঘটনাটি ৷
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি-প্রতিদিন/এ মজুমদার