পাকিস্তানের জামপুরের ঘটনার খবরটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। আর সেটা হল ভাইয়ের শ্বশুরকে বোনের বিয়ে করার ঘটনা। যদিও পরিবারটির দাবি, এমন বিয়ে তাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। এটা কোন গর্হিত কাজ নয়। কিন্তু দেশটির পুলিশ এত কিছু শুনতে রাজি হয়নি। যার জেরে ভাইয়ের শ্বশুরকে গ্রেফতারও করা হয়। আপাতত তিনি ছাড়া পেয়েছেন।
জানা যায়, জামপুরের প্রৌঢ় ওয়াজির আহমেদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাবিল নামে এক স্বামী পরিত্যক্তা যুবতীর। ওয়াজির বহুদিন থেকেই সাবিলকে বিয়ে করতে চাইছিল। কারণ, ওয়াজিরের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে তার কোন ছেলে ছিল না। প্রৌঢ়ের আশা, সাবিল তাকে পুত্রসন্তান দিতে পারবে। কিন্তু স্বামী পরিত্যক্ত সাবিলের শর্ত ছিল বিনিময়ে তার পঙ্গু ভাই মহম্মদ রমজানের সঙ্গে ওয়াজিরকে তার ১৩ বছরের মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। শর্তে রাজি হয়ে যাওয়া ওয়াজির তড়িঘড়ি প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বছর ১৩-র মেয়ে সাইমার সঙ্গে সাবিলের পঙ্গু ভাইয়ের বিয়ে দিয়ে দেন। ৩৬ বছরের রমজানের সঙ্গে সাইমার বয়সের ফারাক অন্তত তিন গুণ। যুবতী সাবিলকে বিয়ের নেশার বুঁদ হয়ে থাকা ওয়াজির আহমেদের এসব ভেবে দেখার অবকাশ ছিল না। আর সেই বিয়ের আসরেই সাবিল বিয়ে করেন ওয়াজিরকে। ঘটনা জানাজানি হতেই পুলিশ ওয়াজিরকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে নাবালিকা কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু, বাবা এবং স্বামীকে আইনের হাত থেকে বাঁচাতে আদালতে মিথ্যা বলে সাইমা। জানায় তার বয়স ১৬ বছর। পাকিস্তানের আইনে নারীদের বিয়ের আইনি বয়স ১৬। ফলে, ওয়াজির জেল থেকে ছাড়া পায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার