যদিও বলা হয়ে থাকে যে, হিমশৈলের ধাক্কায় ভেঙে দুই টুকরো হয়ে যায় টাইটানিক। এত বছর কেটে যাওয়ার পরে ফের জল্পনা উঠেছে টাইটানিকের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে। 'কোন হিমশৈল নয়, আগুনই নাকি টাইটানিকের ধ্বংসের কারণ। ' সম্প্রতি এক আইরিশ সাংবাদিক ম্যালোনি এমনটাই জানিয়েছেন। গত ৩০ বছর ধরে তিনি টাইটানিকের ওপরে গবেষণা চালাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগুনের কারণেই জাহাজটি ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল।
তার মতে, হিমশৈলটি ধাক্কা মারার ফলে জাহাজটির সেভাবে কোন ক্ষতিই হয়নি। অথচ আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই সত্যটি সকলেরই অজানা। ‘টাইটানিক: দ্য নিউ এভিডেন্স’ নামে একটি তথ্যচিত্রে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেছেন ম্যালোনি।
উল্লেখ্য, ১৯১২ সালে বেলফাস্ট থেকে রওনা হওয়ার পরই জাহাজের নিম্নবর্তী অংশে যে আগুন জ্বলছিল, সেই আগুনই জাহাজের খোলটিকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়। প্রায় ৪ দিন পরে সেই আগুন নেভানো হয়। মূলত ওই হিমশৈলে ধাক্কা লাগার পরেই ভেঙে যায় জাহাজটি। এ ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় ১৫০০ মানুষের। ১৯১২ থেকেই লোকমুখে শোনা যেত, ৩০০ ফুটের একটি গভীর ক্ষতের কারণে জাহাজটি ভেঙে যায়। যদিও ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষার পর সের কম কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। সূত্র: এবেলা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার