শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত স্কুল। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঘুরে বেড়াচ্ছে স্কুল চত্বরে। তবে পায়ে হেঁটে নয়। গাছে গাছে। অবাক হওয়ার বিষয় মনে হচ্ছে? তবে এটা বানরদের স্কুল। এখানে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
৪০ বছর ধরে গ্রান্ডফাদার ওয়ান নামে এক ব্যক্তি মালয়েশিয়ার এক ছোট্ট গ্রামে বসে এই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। কৃষকদের সাহায্যার্থে ফসল ও ফল উৎপাদনে বানরদের পারদর্শী করে তুলছেন তিনি। ফসলের ফলনে এরা সাহায্য করছে। ফলে চাষীর কাজ আরও দ্রুত হচ্ছে, সময়ও লাগছে কম।
মালয়েশিয়া জুড়ে প্রচুর এরকম ছোট লেজোয়ালা বিশেষ প্রজাতির বানরকে গ্রান্ডফাদার ওয়ানের কাছে পাঠান বানর মালিকেরা। ওয়ান তাদের প্রশিক্ষণ দেন। চাষের কাজে তাদের দক্ষ করে তোলেন। শুধু চাষের কাজ নয়, নারকেল গাছ থেকে ডাব পেড়ে আনার কাজটাও দক্ষভাবে করে এরা।
তবে এই কাজের পথটা খুব একটা সহজ ছিল না। বানরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু গড়ে তুলেছিল অ্যানিমাল রাইটস গ্রুপ। তবে এখানে কোনো অত্যাচার চালানো হয় না বলে দাবি করেন ওয়ান। পরে আন্দোলনকারীরা তার সেই দাবি মেনে নেন।
এই বানরগুলো তার সন্তানের মতো বলে দাবি করেন ওয়ান। ৬৩ বছরের এই প্রৌঢ় দেখালেন কীভাবে বানরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ স্থলে প্রচুর নারকেল গাছ রয়েছে, বাঁদরগুলো সেই গাছ বেয়ে ওপরে ওঠে। নারকেল ফেললে প্রশংসাও পায়। ভালবেসে তাদের পিঠ চাপড়ে দেন ওয়ান। এভাবেই প্রশিক্ষণরত বানররা বেড়ে উঠছে ওয়ানের তত্ত্বাবধানে।
বিডি প্রতিদিন/০৫ এপ্রিল ২০১৮/এনায়েত করিম