দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়াটা ঠিক হয়নি। আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই কথার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আন্না হাজারের তীর্যক বাক্যবানে ক্ষত-বিক্ষত হলেন দিল্লির সাবেক এ মুখ্যমন্ত্রী। আন্নার কথায়, কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন। কিন্তু এটা তার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
আন্না এদিন কেজরিওয়ালের সমালোচনায় বলেন, কেজরিওয়ালের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কারণ হল প্রধানমন্ত্রীত্বের চিন্তাভাবনা ওর মাথায় ঢুকে গিয়েছিল। সেই কারণেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থী দিয়েছে আপ।
আন্না বলেন, এর আগেও তিনি কেজরিওয়ালকে উপদেশ দিয়েছিলেন চটজলদি এই ধরণের কোনও সিদ্ধান্ত না নিতে। কিন্তু ততক্ষণে ওর মাথায় প্রধানমন্ত্রীত্বের স্বপ্ন ঢুকে গিয়েছিল। বলেছিলেন আগে দিল্লির রাজ্যপাঠ ভালমতো সামলে নিয়ে তারপর দেশের রাজনীতির দিকে এগোতে। আন্না বলেন, আমি নিজে কেজরিকে বলেছিলাম আগে দিল্লিকে এমন তৈরি করো যাতে এ রাজ্যে সবার কাছে মডেল রাজ্য হয়ে যায়। যদি তা করতে পার তাহলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তা আম আদমি পার্টির পক্ষেই কথা বলবে।
আন্নার মতে, সমাজকর্মীরা আম আদমি পার্টিতে যোগ দিলে ভোটিংয়ের ক্ষেত্রে তার ভাল প্রভাব পড়বে। মেধা পটেকার, রাজ্জু শেঠীর মতো সমাজসেবীরা দলে যোগ দিলে ভোটারদের একটা বড় অংশ টানতে পারবে বলেও কেজরিওয়ালকে জানিয়েছিলেন আন্না।
আন্না হাজারে বলেন, দল নয়, ব্যক্তি বিশেষে প্রভাব পড়তে পারে ভোটারদের উপর। যে লোকসভা কেন্দ্র থেকে মেধা পাটেকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, সেই কেন্দ্রে আপ আগে কখনও যায়নি। কিন্তু মেধা নিজে সেখানে বহু বছর কাজ করেছেন। সেখানকার মানুষের জন্য লড়াই করেছেন। সেই কারণেই স্থানীয় মানুষ মেধাকে সমর্থন করছেন। মেধা আপের প্রার্থী বলে নয়। অথচ দলে মেধার মতো মাত্র ২-৩ জন প্রার্থী রয়েছেন বলে আক্ষেপ আন্নার।
কেজরিওয়ালের উপর বার বার আক্রমণের প্রশ্নে আন্নার জবাব, এটা সত্যিই দুঃখজনক ঘটনা। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ষে হারাচ্ছে এটা হয়তো তারই ইঙ্গিত। যদিও আক্রমণের পিছনে ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।