শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১৬, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

সর্বনাশা ভুলের ফাঁদে পা ফেললেন খালেদা জিয়া

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
সর্বনাশা ভুলের ফাঁদে পা ফেললেন খালেদা জিয়া

পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ যে অভিযোগ করেছেন অনেকে তা নিয়ে হাসি-তামাশা করছেন। কেউ কেউ একে চলতি বছরের অন্যতম সেরা কৌতুক বলে অভিহিত করেছেন। জনাব হানিফের মূল কথা হলো, নির্বাচন কমিশন সরকারি দলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে।  তার ভাষায় ‘ইসি আওয়ামী লীগের প্রতি নির্দয়।’ গত ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইসি বিএনপির প্রতি সদয়, আওয়ামী লীগের প্রতি নির্দয় আচরণ করছে। বিএনপিকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিরপেক্ষ আচরণ চাই। সেই দাবি জানাতে কমিশনে এসেছিলাম।’ ১০টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার ব্যাপারেও ঘোর আপত্তি জানিয়েছে সরকারি দল। এ অভিযোগকে কৌতুক বলে অভিহিত করা হচ্ছে এবং এই কারণে যে, বিভিন্ন পৌরসভা অঞ্চল থেকে যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে ঘটনা সম্পূর্ণ বিপরীত বলেই প্রতিভাত হয়। বিএনপি নির্বিঘ্ন ভোটের গ্যারান্টি চেয়ে বিভিন্ন স্থানে তাদের দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে। ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে দলের অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সরকারের আদরের দুলালের ভূমিকা পালন করছে। যার কারণে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে রক্তঝরা সন্ত্রাস-সংঘাতের ক্রমবর্ধমান বিস্তার রোধ করতে পারছে না। বেপরোয়াভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এমপি-মন্ত্রীদের দৌরাত্ম্যে ভোট ডাকাতি আরও বেশি যশ-বৃদ্ধি হবে বলে জনমনে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কথা দিয়ে চিঁড়া ভেজাতে চাচ্ছে, কিন্তু চিঁড়া ভিজছে না। ওসি-ডিসিরা নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নির্দেশনা মানছেন না। স্থানীয় প্রশাসন সরকারের স্নেহমাখা সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহস পাচ্ছে না। ধানের শীষের প্রার্থীর প্রচারের মাইক ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, পথসভার স্থানে চালানো হচ্ছে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলা।’ বিএনপিসহ অন্য প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের একচোখা নীতির বিরুদ্ধে বলে আসছে শুরু থেকে। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন, ফেমাসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানও পৌরসভা নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে কিনা প্রশ্ন তুলে রেখেছে। তারা স্পষ্ট করেই বলেছে, সরকারি দলের প্রভাবশালীরা, বিশেষ করে কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি আচরণবিধি ভঙ্গ করে সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালালেও নির্বাচন কমিশন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নানা অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ২৩ জন মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাতে ভাটার টান শুরু হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর দুজন সংসদ সদস্যকে সতর্ক করে দিয়েই দায় সেরেছে কমিশন। অনেকে বলছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মাহবুব-উল আলম হানিফের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের পরই কমিশনের মতিগতি পাল্টে যায়। তারা নমনীয় হয়ে যায় সরকারি দলের আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের প্রতি।

পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায় থেকেই। অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করে তড়িঘড়ি একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াও দুটি বিষয় নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে কিনা তা নিয়ে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব সার্বিকভাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে না থাকা। একটা সময় ছিল যখন নির্বাচন কমিশনের লোকজন ছিল সীমিত। এখন সে সংকট নেই। যথেষ্ট লোকবল থাকা সত্ত্বেও ২৩৪ পৌরসভার মধ্যে ১৭৫টি পৌরসভার নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। প্রশ্ন ওঠা সঙ্গত যে, নির্বাচন কমিশনকে এড়িয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কেন এতে খবরদারি করবেন? এর উত্তর প্রশাসনের দলীয়করণের সুবিধাটা ষোলআনা তুলে নেওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা। অভিজ্ঞতা বলে, আমাদের দেশে যখন যে দল সরকার পরিচালনা করছে সে দলই নিজেদের মনের মতো করে স্থানীয় প্রশাসন সাজিয়েছে। এমপি সাহেবরা নিজেদের পছন্দ মতো ওসি-টিএনও নিয়ে যান নিজেদের থানায়, ডিসি-এসপি বেছে নেন মন্ত্রী মহোদয়রা। এখন তো এমনো শোনা যায় যে, কেন্দ্র থেকেও দলানুগত কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় জেলা-থানায় পাঠানো হয় দলকে সার্ভিস দেওয়ার জন্য। এ ধরনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সাধু ও নিরপেক্ষ ভূমিকা কতটুকু প্রত্যাশা করা যায়? দ্বিতীয় বিষয়টি আরও সেনসেটিভ। এবার নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। সাংগঠনিক অবস্থা সুশৃঙ্খল ও মজবুত হলে পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন নির্ধারণ হওয়া উচিত ছিল জেলা পর্যায়ে। কোথাও কোনো বিরোধ দেখা দিলে ক্ষেত্রবিশেষে কেন্দ্র রেফারির ভূমিকা পালন করতে পারত। যেহেতু এটি সরকার অদল-বদলের জাতীয় নির্বাচন নয়, সেহেতু এ ব্যাপারে কেন্দ্রের ঝাঁপিয়ে পড়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। কেন্দ্র যদি হস্তক্ষেপ করেও, প্রার্থীর প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করাসহ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সব বিষয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করবেন দলের কোন পর্যায়ের নেতা? ভাবুন তো সত্তরের নির্বাচনের কথা। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ এবং পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকপ্রাপ্ত মনোনীত প্রার্থীদের যে পরিচিতি চিঠি নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছিল তা কি বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরে? না। চিঠি গিয়েছিল দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লার স্বাক্ষরে। দল ছিল সংহত, সুনিয়ন্ত্রিত। জনসমর্থন ছিল ‘দিগন্তপ্লাবিত’। তাই এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর নাম ‘ব্যবহারের’ কৌশল প্রয়োগ করতে হয়নি। এরপরও দেশে যত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এমন কাজ করার প্রয়োজন কেউ-ই অনুভব করেনি। পৌরসভার নির্বাচন তৃণমূলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্তর। এখানে দলের মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্রে দলীয় প্রধানের স্বাক্ষরটা এত প্রয়োজনীয় হয়ে গেল কেন? কেউ কেউ বলেন, দলীয় প্রধান যদি সরকারের প্রধানমন্ত্রী না হতেন, তাহলে বিষয়টি ভিন্নভাবে ভাবা হতো। এখন অবস্থাটা দাঁড়িয়েছে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে ভোটযুদ্ধ হবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীর। কঠোরভাবে বিষয়টির সমালোচনা হচ্ছে এই কারণে যে, সরকারি দলের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিতকরণে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একটি বিব্রতকর অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার জন্য পরামর্শকরা হয়তো প্রধানমন্ত্রীকে এমন পরামর্শ দিয়েছেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর জন্যই একটা চরম বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী নিয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা (যারা নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট) কী করবেন এখন? সরকার দলীয় প্রার্থীকে এখন ভাবা হচ্ছে সরকারি প্রার্থী হিসেবে। সরকারি প্রার্থী পরাজিত হলে সরকারি কর্মকর্তারা তাদের ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কিত হতেই পারেন। ফলে তাদের তো দ্বিতীয় চিন্তার সুযোগ কম। এমতাবস্থায় এ অভিযোগ জোরালো হতেই পারে যে, প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সরকারদলীয় প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করার জন্যই পৌর মেয়র প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্রে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৩৪ পৌরসভার মধ্যে ১৭৫টিতে (প্রায় ৭৫%) প্রশাসনিক কর্মকর্তার ওপর নির্বাচনী দায়িত্ব অর্পণ এবং দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয়ন— একটির সঙ্গে অপরটি নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। যে কেউ ভাবতেই পারেন যে, এটি একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। এই নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। ভোটের দিন কী হতে পারে নির্বাচনী প্রচারকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দলটির জন্য সুখকর নয়। অবিরাম তারা তা বলে চলেছেন। তারপরও তারা বলছেন ভোট গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা নির্বাচনে থাকবেন। এটি অবশ্যই একটি পজিটিভ সিদ্ধান্ত। আরেকটি তত্পর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ওই নির্বাচনে তাদের শক্তিশালী জোটমিত্র জামায়াতে ইসলামী তাদের সঙ্গে নেই। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় অনেকে ধারণা করেছিলেন যে, জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে মিশে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করবে। কিন্তু তা হয়নি, জামায়াতে ইসলামী বিএনপির বাইরে থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ৩৫টি সম্ভাবনাময় আসনে তারা মেয়র পদে লড়ছেন। এর বাইরেও তাদের প্রার্থী আছে। কোনো প্রকার আসন সমঝোতায় তারা আসেননি। বিএনপির তরফ থেকেও তাদের খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি ২০ দলীয় জোটের যে গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সে সভায় জামায়াতে ইসলামী অনুপস্থিত ছিল। প্রচার আছে যে, জামায়াতের সঙ্গে তলে তলে সরকারের একটা গোপন সমঝোতা হয়েছে এবং সেই সমঝোতার ভিত্তিতে জামায়াত স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে। তারা নির্বাচনে থাকলে বিএনপি প্রার্থীর ভোট কমবে— হিসাবটা এমন। কোনো কোনো পৌরসভায় যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়ে বিএনপি প্রার্থীর অবস্থা খুব ভালো সেখানে জামায়াতের প্রার্থীকে জেতানোর চেষ্টাও থাকতে পারে। অনেক পৌরসভায় ২-১টি কাউন্সিলর পদে সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে সরকারদলীয় প্রার্থীকে জামায়াত সমর্থন করছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। তৃতীয় ধাপ থেকে উপজেলা নির্বাচনে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম তিন সিটি নির্বাচনে জামায়াতের এমন রহস্যময় ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে। সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও জামায়াত তা করেনি। তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ছিল এবং কয়েকটি কমিশনার পদে জয়ও পেয়েছে। পাঠক, লক্ষ্য করে থাকবেন যে, পৌর নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরুর পর বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোথাও কোথাও সংঘাতের খবর পাওয়া গেলেও জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তেমন কোনো ঘটনা ঘটার খবর এখন পর্যন্ত তেমন চোখে পড়েনি।

সরকারি দল বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গে ‘ব্র্যান্ডেড’ করে বিএনপিকে পাকিস্তানপন্থি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে চিত্রিত করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছে এবং অনেকটা পেরেছেও। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন এবং সর্বশেষ পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের দূরত্ব এবং জামায়াত-আওয়ামী লীগ সম্পর্কের গোপন নৈকট্যের ধারণা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে একটা স্বস্তির ভাব সৃষ্টি করেছিল। অনেকেরই ধারণা হয়েছিল যে, বিএনপির ঘাড় থেকে জামায়াতী ‘ভূত’ বুঝি নামল। কিন্তু কোনো এক অশুভ শক্তি বিএনপিকে বোধহয় স্থির হয়ে সম্ভাবনার সড়কে উঠতেই দিতে চাচ্ছে না। সবাই জানেন যে, বিএনপি এখন একটা দুঃসময় অতিক্রম করছে। হটকারী রাজনৈতিক পন্থা অনুসরণ করে, বিশেষ করে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির আবরণে যেসব দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, বিএনপি তার দায় এড়াতে পারেনি। সরকারও সাফল্যের সঙ্গে সব পেট্রলবোমা হামলা, মৃত্যু, অগ্নিসংযোগ, জাতীয় সম্পদের বিপুল ক্ষতি সব কিছুর জন্য বিএনপি-জামায়াতই দায়ী— তা জনসাধারণের শান্তিপ্রিয় অংশকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে। মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত দল এবং সহযোগী দলের প্রায় সব নেতা-কর্মী। অনেক সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীও মাশুল গুনছেন দলের ভুল রাজনীতির। রাজনীতিবিদদের কোনো দলে যদি কোনো মূল্য না থাকে, পদ-পদবি দিয়ে যদি তাদের ‘স্টাফ অফিসারের’ মতো বিবেচনা করে অনুগত হেনছম্যানরূপী (Henchman) কর্মচারী দিয়ে পরিচালিত হয়, সেই দল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল করবেই। বিএনপি কর্মচারীনির্ভর হওয়ায় চরম মাশুল দিচ্ছে। পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং শেষ পর্যন্ত (গণনা পর্যন্ত) নির্বাচনে থাকার সিদ্ধান্ত বিএনপির সঠিক গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসা বলে বিবেচনা করা হচ্ছিল। সংগঠনটির মধ্যে একটা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে তৃণমূল পর্যায়ে। অবশ্য বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে বোঝার উপায় নেই যে দলটি দেশের ২২৪টি (১০টি বাতিল হয়েছে) পৌর এলাকার বিশাল কর্মযজ্ঞে মেতে আছে। ঢাকায় দলের এই করুণ দশার পেছনের কারণ গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের নেতিবাচক কার্যকলাপ। তারপরও সারা দেশে দল-সমর্থকদের মধ্যে একটা আশাজাগানিয়া ভাব জেগেছিল। ভাবা হচ্ছিল, এবার হয়তো ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেবে দলটি। সরকার বাহ্যিক কিছু সুযোগ তো দিয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ কয়েকজন নেতা জামিনে মুক্ত হয়েছেন, যারা এতদিন ‘গর্তে’ ছিলেন তারা নির্বাচনী প্রচারে নামতে সাহস পাচ্ছেন, তৃণমূলের যেসব নেতা কর্মীকে যৌথবাহিনী এতদিন দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছিল তা গত এক মাস অনেকটাই শিথিল; তারা এখন বাড়িঘরে ফিরতে পারছে, ঘুমাতে পারছে। চাঙ্গা হয়ে উঠেছে মাঠ-সংগঠন। হঠাত্ই আবার ‘উল্টা গীত’। পার্টি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনভিপ্রেত এক মন্তব্য দলটিকে আবারও এক কঠিন রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে দিল। মুক্তিযোদ্ধা দলের এক সমাবেশে তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মীমাংসিত একটি বিষয়কে অগ্রাহ্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন। অন্য সবারই কথা বাদ দিলাম, তিনি এ প্রশ্নে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানকেও চ্যালেঞ্জ করলেন। ‘একটি জাতির জন্ম’ শিরোনামে ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়া একটি লেখা লিখেছিলেন। ছাপা হয়েছিল সাপ্তাহিক বিচিত্রায়। পরে বহু পত্র-পত্রিকা-সংকলনে লেখাটি ছাপা হয়েছে। তাতে তিনি বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু বলেই সম্বোধন করেছেন এবং স্পষ্টভাবে ৩০ লাখ শহীদ এবং আড়াই লাখ সম্ভ্রম লুণ্ঠিত মা-বোনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বেগম জিয়ার এই বক্তব্যকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের দোসরদের নৃশংসতাকে হালকা করে দেখার প্রবণতা হিসেবে কেউ কেউ বর্ণনা করতেই পারেন। এমন একটা সময় কেউ তাকে উসকে দিয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যটি বলিয়ে নিল, যখন পাকিস্তানিরা বলছে একাত্তরে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি; যে কথা জামায়াতে ইসলামীর প্রবীণ প্রজন্মও বলে যাচ্ছে। এ বক্তব্যকে কেউ অবশ্য জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির শিথিল সম্পর্কটা আবার উষ্ণ করার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিফলন বলে মনে করছেন। এই মহল বিএনপির এ অবস্থানকে আত্মঘাতী বলে মনে করেন। বিএনপিতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন। তারা বিষয়টি সহজভাবে নেবেন বলে মনে হয় না। পদ-পদবি, দলে মূল্যায়ন ইত্যাদি প্রশ্নে নানা কারণে অনেকে কম্প্রোমাইজ করে চলেছেন, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত ও আবেগাশ্রিত বিষয়ে সবাই মুখ বুঝে নাও থাকতে পারেন।

অনেক সমর্থকের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। এটা দলের জন্য খুবই ক্ষতিকারক হবে। বেগম খালেদা জিয়া ভুল স্বীকার করে এ ব্যাপারে একটা ব্যাখ্যা দিলে ভালো করবেন। যে কথায় পাকিস্তান এবং পাকিস্তানপন্থিরা খুশি হয়, সেই কথা বলে কোনো দলের কী লাভ?  বাংলাদেশেরই বা কী লাভ? বেগম খালেদা জিয়াকে কেউ যদি এমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, এ ধরনের বক্তব্য পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের ওপর অনুকূল প্রভাব বিস্তার করবে সে পরামর্শ শুধু ভুলই নয়, সর্বনাশা। সেই সর্বনাশা ভুলের ফাঁদে কেন পা রাখলেন বেগম খালেদা জিয়া?

     লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
সর্বশেষ খবর
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৫৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৪ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’
‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার
মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার

৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি
কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’
‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি জামায়াত আমিরের
সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি জামায়াত আমিরের

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভালুকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়
ভালুকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরি
মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের শিশু চুরি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতারা
কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দলের নেতারা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে জুলাই পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক
বাংলাদেশে জুলাই পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘ক্লিন’ রাখতে হবে সেলফোন
সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘ক্লিন’ রাখতে হবে সেলফোন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

ভবনের নকশার ব্যত্যয় করলে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ভবনের নকশার ব্যত্যয় করলে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন
জনবল নিয়োগ না দিয়েই উদ্বোধন

দেশগ্রাম

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

সম্পাদকীয়

শুধু মুসলিম ঐক্যে শান্তি সম্ভব না
শুধু মুসলিম ঐক্যে শান্তি সম্ভব না

প্রথম পৃষ্ঠা

আমি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, টাইম নাই ইউনিয়ন গোনার
আমি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, টাইম নাই ইউনিয়ন গোনার

নগর জীবন

আটকে আছে আধুনিকায়ন প্রকল্প, ভাঙন শুরু
আটকে আছে আধুনিকায়ন প্রকল্প, ভাঙন শুরু

দেশগ্রাম