বসুন্ধরা শুভসংঘ যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, তা অবশ্যই ইতিবাচক। আমি গাইবান্ধাবাসীর পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানাই। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অভাবগ্রস্ত লোকদের মাঝে যে কার্যক্রমগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বিশেষ করে শিশুদের বিনা মূল্যে যে শিক্ষা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, আমি এই ব্যাপারটিকে স্বাগত জানাই।
নদীভাঙন কবলিত অতিদরিদ্র পরিবারের মহিলাদের সেলাই মেশিন দিয়ে কর্মক্ষম করে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য তাদের অভিনন্দন জানাই। সামগ্রিকভাবে সারা দেশে তাদের জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের কথা জেনেছি। বিত্তবান অনেকেই হয়, কিন্তু আশপাশের গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য সহমর্মিতা প্রকাশ বা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতা সবাই রাখে না। সেদিক থেকে বসুন্ধরা শুভসংঘ নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয়ে চিহ্নিত করেছে।
আমরা বিশ্বাস করি, ইসলাম ধর্মে মানবতার জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য যে আহবান জানানো হয়েছে, তা সবার অন্তরে ছড়িয়ে পড়বে। ধনী-গরিবের ব্যবধান কমানোর জন্য ইসলামই সবাইকে অন্তরের সংকীর্ণতাকে পরিহার করে হাতে হাত রেখে পথ চলার শিক্ষা দেয়। গাইবান্ধা জেলা নদীভাঙন ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘ এই এলাকায় আরো কর্মপরিধি বাড়াবে—এই প্রত্যাশা করি।
মহান আল্লাহ তাআলার খাস রহমতে বাংলাদেশ এভাবেই আগামী দিনে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।