প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভঙ্গ করে দেশের বাইরে অবস্থান করায় ইনিস্টিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি (আইআইটি) বিভাগের দুই শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন, সহকারী অধ্যাপক ড. মুফতি মাহমুদ ও প্রভাষক মো. রুহুল আমিন খন্দকার।
মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, সহকারী অধ্যাপক ড. মুফতি মাহমুদ উচ্চতর ডিগ্রির জন্য দীর্ঘদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে যান। নির্ধারিত ছুটি শেষ হবার ৩ বছর পর কয়েকবার তাকে নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তা স্বত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান না করায় গত সোমবারে এক সিন্ডিকেট সভায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে একই সিন্ডিকেটে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কটূক্তি করায় একই বিভাগের প্রভাষক মো. রুহুল আমিন খন্দকারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। প্রভাষক মুহাম্মদ রুহুল আমিন খন্দকার ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে তার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘পরীক্ষা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার ফল তারেক ও মিশুক মুনীরসহ নিহত ৫: সবাই মরে, হাসিনা মরে না কেন?’ গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সত্যতা যাচাই করতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটি ওই বছর ১০ সেপ্টেম্বর দেওয়া প্রতিবেদনে ‘সত্যতা পাওয়া গেছে’ বলে জানায়।
এরপর সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মনোয়ার হোসেন ওই বছর অক্টোবরে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে দণ্ডবিধির ১২৪ এর ‘ক’ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি এজাহার হিসেবে নেওয়া হয় এবং ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি সাভার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুস সালাম অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল রুহুল আমিন খন্দকারকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলার শুনানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়জন শিক্ষকসহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন।
বিডি-প্রতিদিন/১২ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব