চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চতুর্থ সমাবর্তন আগামীকাল রবিবার। কিন্তু এ সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের ক্যাপ ও টাই না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চবি কর্তৃপক্ষ। এতে সমাবর্তনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ও বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা গাউনের সঙ্গে ক্যাপ পড়ে অংশ নেবেন।
চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, ক্যাপ ও টাই ছাড়া সমাবর্তন মানে ভাত দিয়ে পানি না দেওয়ার মত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি এই সমাবর্তন। অথচ এখানে ক্যাপ দেয়া হচ্ছে না- তা ভাবতেও কেমন যেন লাগছে। তাছাড়া ক্যাপ ছাড়া সমাবর্তন পোশাকের পূর্ণতাও পায় না। ক্যাপ না দেওয়ায় সমাবর্তনের স্মারক হিসেবে আমাদের সংগ্রহে আর কিছুই থাকবে না।
চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা বলেন, দেশের বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন ক্যাপ দেওয়া হলেও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমাবর্তন ক্যাপ দেওয়া হয় না। এর আগেও চবির তিনটি সমাবর্তনে ক্যাপ দেওয়া হয়নি।
চবি সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের এবং ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পিএইচডি, এমফিল, এমএস, চিকিৎসা বিজ্ঞান, নার্সিং ও সাধারণ ডিগ্রিধারীদের সনদ ও চ্যান্সেলর পদক দেওয়া হবে। সমাবর্তনে চ্যান্সেলর পদক পাবেন ৯ জন, পিএইচডি ডিগ্রি পাবেন ২৫ জন, এমফিল ডিগ্রি পাবেন ১৩ জন। অন্যরা সাধারণ গ্র্যাজুয়েট সনদ। সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন সাত হাজার ৪৯০ জন। যা অতীতের তিনটি সমাবর্তনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। সমাবর্তনে অংশ নিতে আবেদন করা গ্র্যাজুয়েটদের গত বুধবার থেকে গাউন বিতরণ শুরু হয়। সমাবর্তনের দিন সকাল পর্যন্ত সংগ্রহ করা যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন