ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কমীরা ক্যাফেটরিয়ায় ভাংচুর ও মানেজারকে ব্যাপক মারধর করেছে বলে জানা গেছে। পরে ছাত্রলীগ কর্মীদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া দেয় ক্যাফের ম্যানেজার।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাফেটরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতি পূরন না দেয়া পর্যন্ত ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ থাকবে বলে ঘোষনা দিয়েছে ম্যানেজোর বিপ্লব হোসেন।
ক্যাফের ম্যানেজার জানান, বেলা ১১টার দিকে ক্যাফেটেরিয়ায় শিক্ষক লাউঞ্জে ছাত্রলীগ কর্মী তৌকির মাহফুজ মাসুদ ও তার কয়েকজন বন্ধু দীর্ঘক্ষন বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় আমি তাদের শিক্ষক লাউঞ্জে বসতে নিষেধ করে বলি, প্রক্টর স্যার এখানে ছাত্রদের বসতে নিষেধ করেছে। আপনারা ক্যাফের ভিতরে এসে বসেন। এখানে বসতে হলে প্রক্টর স্যারের অনুমতি লাগবে। এ কথা শুনে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারতে শুরু করে। একপর্যায়ে ক্যাফেটেরিয়ার চেয়ার, টেবিল, গ্লাস ও প্লেট ভাংচুর করে। এতে দুপুরের খাবার নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতি পূরন না দেয়া পর্যন্ত ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে ম্যানেজার।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা আরো জানান, এ ঘটনার পরে বিপ্লব দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, লাঠিসোটা, খন্তা নিয়ে মাসুদকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে মাসুদ ও তার বন্ধুরা অনুষন ভবনে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
এঘটনায় পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা তাদেরকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেন। কিন্তু এসময় ক্যাফের ম্যানেজার দুপুরের খাবারের ক্ষতি পুরন না পাওয়া পর্যন্ত ক্যাফ চালাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, এটি দলীয় কোন বিষয় না। তার বিভাগের বন্ধুরা মিলে সেখানে খাইতে গিয়েছিল। তারপরেও আামি বিষয়টি শুনেছি এবং উভয়ের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।
প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান জানান, ‘ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার ও মাসুদের সাথে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি। তারপরেও বিষয়টি দেখছি।’
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন