রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদেরকে বরণ করে নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি (রুরু)। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ভবনে রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে নবীনদের হাতে কলম ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাবি ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ, সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদ, রুরুর সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়শ্রী ভাদুড়ী, রুরুর সহ-সভাপতি জাকির হোসেন তমাল ও কায়কোবাদ খানসহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে জয়শ্রী ভাদুড়ীর সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এমন সুন্দর ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে পারা সত্যি অনেক ভাগ্যের। তোমরা তাই করেছ। দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. শামসুজ্জোহার স্মৃতি জড়িত ক্যাম্পাসে তোমাদের পদচারণা আমাদের পুলকিত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় দিনে তোমরা রিপোর্টার্স ইউনিটির মতো ক্যাম্পাসের সাংবাদিক সংগঠনে এসে সংবর্ধনা পাচ্ছো। এই দিনটি তোমাদের কাছে জীবনের অন্যতম দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের আত্মত্যাগে আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি তাদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের আত্মত্যাগকে আমাদের চেতনায় ধারণ করতে হবে। তবেই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের স্বাধীন সার্বভোম বাংলাদেশ গঠন হবে। তরুণরাই পারে দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে। সেই পথে তোমরা অগ্রগামী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশকে ভালোবাসলে তোমাদের সাফল্য আসবেই। তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে নিজেকে সৃজনশীল করবে এটাই কামনা।’
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ বলেন, ‘সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনেক। তোমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে সে লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।’
রুরুর সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রগতিশীলতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করি। রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তোমাদের স্বাগতম। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করতে চাইলে এই সংগঠনে আসতে পারবে।’
এর আগে রুরুর সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা নবীনদের উদ্দেশ্যে লিখিত অভিনন্দন বাণী পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানে গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থী সুজন আহমেদ ও তানজিনা আক্তার প্রাপ্তি স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা