রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছে এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমে তাদের মেধাক্রম পরিবর্তন করে ভর্তির সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা দাবির দাবি অভিযোগ ওঠেছে। এই জালিয়াত চক্রকে সতর্কবার্তা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কোন প্রার্থীর কাছ থেকে অর্থ দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো এসএমএস পাঠানো হয়নি এবং ভর্তি পরীক্ষার মেধাক্রম পরিবর্তন বা পরিমার্জনের কোন সুযোগ নেই। ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার মাধ্যমে অর্জিত মেধাক্রমই চূড়ান্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীগণ তাদের সাক্ষাৎকার সম্পন্ন করার পর অনুষদ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় এবং কেবলমাত্র নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রযোজ্য চার্জসমূহ (হল/বিভাগ/অন্যান্য) ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে জমাদানের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সমাপ্ত করবে। এ বিষয়ে মধ্যস্থতায় অবতীর্ণ কোন অসৎ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা জালিয়াত চক্র থেকে সংশ্লিষ্টদেরকে সাবধাণতা অবলম্বন করার পরামর্শ প্রদান করা যাচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে বেশ কয়েকজন ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকের ফোনে একটি এসএমএস আসে। এসএমএসটি একটি অজ্ঞাত নাম্বার (০৩৫৯০৭৭৭৮৮৮)। ইংরেজীতে লিখা সেই এসএমএসে উল্লেখ করা হয়, ‘যদি আপনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পান অথবা ভর্তি পরীক্ষায় আপনার মেধাক্রম দূরে হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত যে কোন সাহায্যের জন্য আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে ‘০১৮৬০৩৬৪৬৩৯’-এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।’
এসএমএসে উল্লেখকৃত ওই নাম্বারে (০১৮৬০৩৬৪৬৩৯) যোগাযোগ করলে এক যুবক ফোন রিসিভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেয়ার ‘শতভাগ নিশ্চয়তা’ দিয়ে ভর্তিচ্ছুদের কাছে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করেন সেই যুবক। এর মধ্যে ১৫ হাজার টাকা অগ্রীম দিতে হবে এবং বাকি টাকা ভর্তি হওয়ার পর দিতে হবে বলে জানায় সে। কিন্তু ওই যুবক নিজের পরিচয় জানাতে অপারগতা জানান।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর