কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতি তার কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে রেখেছে ২৫দিন ধরে। অচলাবস্থার কারণে ৬ নভেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এতে ৫৪ হাজার ৮০৯ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সংগঠন কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের বলেন,‘শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত হয়নি। তবে কাজে কিছুটা ধীরগতি ছিলো। আশা করি ডিসেম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না।’
শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন,‘তালা মেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করা ঠিক নয়। ১৯০জন শিক্ষকের মধ্যে কয়জনের এ আন্দোলনের সাথে সমর্থন আছে,তা দেখা প্রয়োজন। যারা এখন আন্দোলন করছেন, তারা গত ৮/১০ বছর ধরে উপাচার্যদের শেষ সময়ে এসে আন্দোলন করেন, যেনো পরবর্তী ভিসির নজরে পড়েন।’
সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) কুমিল্লার সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন,‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো। এখানে রাজনীতি চালু হওয়ায় অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র রাজনীতির সাথে শিক্ষক রাজনীতিও বন্ধ করতে হবে। এখানে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে। ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত হওয়া প্রতিষ্ঠানের জন্য সুখকর নয়।’
ভিসি অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘ শিক্ষকদের একাংশের অসহযোগিতার কারণে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ১২নভেম্বর একটি সভা ডেকেছি। আমার মেয়াদ ২ ডিসেম্বর শেষ। তবে প্রতিষ্ঠান এবং ৫৫হাজার শিক্ষার্থীর স্বার্থে আমার সহযোগিতা থাকবে।’
উল্লেখ্য-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ১৪ দফা দাবিতে গত ১৫ অক্টোবর থেকে আন্দোলনে রয়েছে শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের কারণে গত ১৬ অক্টোবর থেকে উপাচার্য তাঁর দপ্তরে যেতে পারছেন না। তখন থেকেই শিক্ষক সমিতি তাঁর দপ্তরে তালা দিয়ে রেখেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর