ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুর তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অভ্যন্তরে এই ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
আহত চারজন হলেন বিন ইয়ামিন মোল্লা, জসিম উদ্দিন আকাশ, আহমেদ কবির ও তারেক রহমান। এরা সবাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র যুগ্ম-আহ্বায়ক। চিকিৎসার জন্য তাদের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার শিকার আরেক যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ থেকে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এজন্য আমরা ৮ জন দুপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে বসে ছিলাম। পরে দুপুরের খাবার খেতে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ার ভিতরে গেলে ৮০ থেকে ৯০ জন ছাত্রলীগ কর্মী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের মধ্যে ছিল শহীদুল, আনোয়ার ও মামুনসহ আরো অনেকে। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নুর জানান, ''কিছু ছাত্র নিজেদের উদ্ধেগ-উৎকণ্ঠা থেকে রাজু ভাস্কর্যে একটা মানববন্ধন করতে চেয়েছিল। তাদের সাথে আমাদের সংগঠনের কিছু লোক ছিল। কিন্তু অবস্থানের পূর্বেই ছাত্রলীগ ওদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় দুইজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও শুনেছি।''
হামলার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ''আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেছি, ছাত্রলীগের কেউ এই হামলার সাথে জড়িত নয়। আমাদের কোন নেতা-কর্মীর সাথে এর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।''
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, হামলার অভিযোগ নিয়ে কোন পক্ষই আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেনি। তবে ঘটনা জানতে পেরে জানতে পেরে আমি প্রক্টরিয়াল টিমকে সেখানে পাঠিয়েছিলাম। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে তারা জানিয়েছে কোনো একটা গ্রুপ কিছু করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছিল। এই কারণে একটা সংঘর্ষ হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮/মাহবুব