উৎকন্ঠার মধ্যেই আগামীকাল রবিবার (২০ জানুয়ারী) হাবিপ্রবি’র ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। যদিও হাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ বলছেন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ২০ থেকে ২৩ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
হাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ জানায়, আন্দোলনরত শিক্ষকদের একটি পক্ষ আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে। তবে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করে তা হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এরপরেও ভর্তি পরীক্ষায় সমস্যা হবে না এমনটাই আশা করছেন হাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. সফিউল আলম।
এবারে ২০১৯ সালের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় হাবিপ্রবি’র ২০০৫টি আসনে ভর্তির জন্য অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার ১৯২ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান পরিস্থিতিতে হাবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরাও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে।
এ ব্যাপারে হাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. সফিউল আলম বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের দায়িত্ব পালনে আহবান জানানো হয়েছে। তারা সাড়া দিবেন। সব শিক্ষকদের অংশগ্রহণ করাটা জরুরী। তবে আন্দোলনরতরা ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন না করে, তবুও যথাসময়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, দেশের ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ সালের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ নভেম্বর থেকে অব্যাহত শিক্ষক আন্দোলনের ফলে ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
গতকাল শনিবার হাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য-একাডেমী কাউন্সিলের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ছাড়াও বিশ্ববদ্যিালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর ৫৭ জন সহকারী অধ্যাপকের অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট ও এটাকে কেন্দ্র করে ১৪ নভেম্বর ও ২৯ নভেম্বর সৃষ্ট সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে ১৯ জানুয়ারি একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ সকল সিদ্ধান্তের ফলে আন্দোলনরত ৫৭জন সহকারী অধ্যাপকগণের অধিকাংশ কর্তৃপক্ষকে জানায় তারা আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।
কিন্তু প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম জানায়, তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না। কর্তৃপক্ষ প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামকে জানায়, সমস্যা সমাধানে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তা সত্ত্বেও তারা যদি ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করে তা হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর