বেগম রোয়া কেবিশ্ববিদ্যালয়ে দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মারধরের শিকার দৈনিক সংবাদ-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও সাংবাদিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আল আমিন হোসাইন এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও সমিতির যুগ্ম সম্পাদক পৃথকভাবে এ অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হল প্রশাসন এক আবেদনের প্রেক্ষিতে শহীদ মুখতার ইলাহী হলে আল আমিন ও সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম বকুলকে ৬০৩ (CL) নং কক্ষে আবাসিকতা প্রদান করেন। এরপর তারা সেই আসনে গিয়ে দেখেন অন্য কেউ দখল করে আছে।
এরপর আল আমিন গত মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রতিদিনের ক্যাম্পাস প্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া ও হল সভাপতি হাসান আলীর সাথে সাক্ষাৎ করে সহযোগিতা চান। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ তাদেরকে হলের অন্য একটি কক্ষ দেখিয়ে সেখানে উঠতে বলে।
এসময় সাক্ষাৎ শেষে হলের তৃতীয় তলায় বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর প্রতিনিধি সৌম্য সরকারকে অতর্কিতভাবে মারধর করতে সিঁড়িতে ফেলে দেয় ইংরেজি বিভাগের (৪র্থ ব্যাচ) শিক্ষার্থী মাহমুদ-উল-ইসলাম জয়। জয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিগত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। পরে আল আমিনকে মারধর করে জয়।
আল আমিন চিৎকার করলে জয়ের সহযোগী মার্কেটিং বিভাগের রাসেল রানা (৭ম ব্যাচ) ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের (৯ম ব্যাচ) শিক্ষার্থী মাহফুজ আহমেদসহ আরও কয়েকজন এগিয়ে আসে। পরে তারা আল আমিনের গলা টিপে ধরে এলোপাথাড়ি ভাবে আঘাত করতে থাকে। এ ঘটনায় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পত্র হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি মৌকভাখিবে শুনেছি এবং অভিযোগপত্রও পেয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন