১৬ দফা দাবি নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘আশু ও দীর্ঘমেয়াদি’ দাবি হিসেবে দুইভাগে এটি তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আশু দাবিসমূহ চলতি বছরের চার ডিসেম্বর ও দীর্ঘমেয়াদি দাবিসমূহ আগামী বছরের ২৬ মার্চের মধ্যে মেনে নেয়ার জন্য প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়। দাবি গুলো না মানা হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুমকিও দেন তারা।
আশু দাবিসমূহ হল: ক্যাম্পাসে সর্বাত্মক গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা, আসন্ন সমাবর্তন উপলক্ষে হল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার ও বছরে ৩৬৫ দিন হল খোলা রাখা, শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে অযৌক্তিক বৈষম্য ও সময়সীমা চাপিয়ে না দেয়া ও নৈতিক খবরদারী না করা, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বাড়ানো ও দাম কমানো এবং টংগুলোতে ভারী খাবার রাখার অনুমতি দেয়া ও টং দোকান গুলো বন্ধের সময়সীমা বেধে না দেয়া, রাত দশটা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা রাখা ও একাডেমিক আওয়ারের পরও কিছু কক্ষকে রিডিংরুম হিসেবে বরাদ্দ অথবা বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরি গুলো খোলা রাখা, সংগঠনগুলোকে ভেন্যু বরাদ্দের ক্ষেত্রে অর্থ না নেয়া ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ না করা।
এদিকে, দীর্ঘমেয়াদি দাবিসমূহ হল: পরীক্ষার খাতায় পরিচয় নির্দেশক রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের পরিবর্তে কোডিং সিস্টেমের ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত, শিক্ষার্থীদের আনুপাতিক হারে বাসের সংখ্যা, বাসের রুট ও ট্রিপ সংখ্যা বৃদ্ধি, জিমনেসিয়ামের কার্যকারিতা ও প্রবেশের যৌক্তিক সময়সীমা বৃদ্ধি, মেডিকেল সেন্টারের সুবিধা বৃদ্ধি, লাইব্রেরিতে বইসহ রিডিংরুমে প্রবেশের সুবিধা, প্রথম ছাত্রীহল ও একাডেমিক বিল্ডিংগুলোর যথাযথ নামফলক ব্যবহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন ও হলগুলোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠগুলো ব্যবহার উপযোগী ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা, কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের মান উন্নয়ন ও সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, শীতকালীন ছুটিতে হল খোলা রাখার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বুধবার মানববন্ধনের আয়োজন করে। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে মানববন্ধন পণ্ড হয়। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মশাল মিছিল, সম্মিলিত গান, রোড পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে অষ্টম দিনের মত ১৬টি দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন