ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে এখন জবাবদিহির ভীষণ অভাব। জবাবদিহি আজকে খুব জরুরি। তাই জবাবদিহির চর্চা করতে হবে। রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রাঙ্গণে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ‘অ্যাকাউন্টিং উইক-২০২০’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ৭১-এর পর দেশের রাষ্ট্রীয় সমীকরণ আরও কঠিন হয়েছে। এখন দেশের ২০ ভাগ মানুষ রাষ্ট্রীয় সুবিধা পায়। বাকি ৮০ ভাগ মানুষ এর থেকে বঞ্চিত। এই সমীকরণের সমাধানে সমাজবদলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যক্তিমালিকানার জায়গা থেকে সামাজিক মালিকানায় যেতে হবে। কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর প্রদর্শিত পথ পরিত্যাগ করে সামাজিক উন্নতির দিকে যেতে হবে। সবার উন্নতির মধ্যেই আমার উন্নতি নিহিত আছে। আমরা যে বোধের কথা বলি, জবাবদিহির কথা বলি, তা আমাদের সামনে আনতে হবে।’
ব্যক্তিমালিকানার ইতিহাস ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখান থেকে সামাজিক মালিকানার দিকে মোড় ঘুরতে হবে। যে সমীকরণের কথা আমরা বললাম, তা অবশ্যই করতে হবে। তা না হলে আমরা ক্রমাগত অন্ধকারের দিকে এগুবো। যে উন্নতি কারো দিকে তাকায় না- সে উন্নতির দরকার নেই। মানবতা ও জবাবদিহি দুটোই আমাদের প্রয়োজন।
বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক রিয়াজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘অ্যাকাউন্টিং উইক-২০২০’ আয়োজক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বদেশ রঞ্জন সাহা।
পরে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরপর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। সপ্তাহব্যাপী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক নানা আয়োজনে ‘অ্যাকাউন্টিং উইক-২০২০’ পালন করবেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্র্থীরা।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন