ষাটের দশকের শুরুতে টিএসসির নকশা করেছিলেন গ্রিক স্থপতি কনস্ট্যান্টিন ডক্সিয়াডেস। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুব খানের আমলে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এই ভবনটি এখন ভেঙে ফেলা হবে। ভেঙে সম্পূর্ণ নতুন রূপে গড়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রকৌশল দফতর ও সরকারের গণপূর্ত অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভবনটিকে আধুনিক ভবন হিসেবে দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভবনের নকশা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র আরও জানায়, টিএসসিকে নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে গণপূর্ত অধিদফতর। নকশা প্রস্তুত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে চাহিদাপত্র নিয়েছে গণপূর্ত অধিদফতর।
এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতরকে টিএসসির নতুন অবয়বে কী কী সুযোগ-সুবিধা থাকতে পারে, তার একটি তালিকা দিয়েছেন টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ আলী আকবর।
যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকছে
সূত্র জানায়, টিএসসিভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জন্য আধুনিক সুবিধাসংবলিত কক্ষ, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মহড়াকক্ষ, ব্যায়ামাগার, আন্তঃক্রীড়াকক্ষ, পৃথক ক্যাফেটেরিয়া, শিক্ষক মিলনায়তন, গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তিন তলাবিশিষ্ট স্থান, অতিথিকক্ষসহ বেশকিছু আধুনিক সুবিধা। এ ছাড়া তিনটি মিলনায়তন থাকবে, যেগুলোর একটিতে প্রায় দেড় হাজার ও অন্য দুটির প্রতিটিতে ৩০০ জনের ধারণক্ষমতা থাকবে। কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলায় সুইমিংপুল নির্মাণ করা হবে।
কী কারণে ভাঙা হবে?
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেছিলেন, ‘১৯৬৪ সালে টিএসসি নির্মিত হয়। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮০০, শিক্ষক ছিল ২০০ থেকে কিছু বেশি। এটাকে বিবেচনায় রেখে এটুকু জায়গায় টিএসসির ভবন, মিলনায়তন ও ফ্যাসিলিটিজ তৈরি করা হয়। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজারের বেশি শিক্ষক আর ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। কিন্তু টিএসসি আগের মতোই আছে। প্রধানমন্ত্রী সে জন্যই আমাদের এটা পুনর্বিন্যাস করার নির্দেশনা দিলেন।’
সূত্র : প্রথম আলো।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ