রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ না থাকলেও অ্যাকাডেমিক পরীক্ষা কেন বন্ধ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণাসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধনে এ প্রশ্ন তুলেন তারা।
মানববন্ধনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকী বলেন, শিক্ষকরা আমাদের পিতৃতুল্য। কিন্তু সেই শিক্ষকরাই এখন আর আমাদের নিয়ে ভাবেন না। যদি ভাবতেন তাহলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদেরও পরীক্ষা নিতেন। আপনাদের নিয়োগ বাণিজ্য তো থেমে নেই, সিনেট অধিবেশন থেমে নেই, প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম চলছে, তাহলে আমার পরীক্ষা থেমে আছে কেন? আপনাদের যে সংকীর্ণতা, তা পরিহার করে আমাদের কথা ভাবুন। আমরা বাঁচলে রাষ্ট্র বাঁচবে, আমরা বাঁচলে আগামীর ভবিষ্যৎ বাঁচবে।
রবিবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে এই মানববন্ধন আয়োজন করে ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা না করলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো ছিল- ‘২০১৬-১৭ সেশনের চূড়ান্ত পরীক্ষা আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। পরীক্ষার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে দিতে হবে। করোনাকালীন হলসহ অন্যান্য অতিরিক্ত ফি মওকুফ করতে হবে।’
মানববন্ধনে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফ বলেন, গণমাধ্যম থেকে জানতে পারি- সরকার বলছে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিবে। এদিকে প্রশাসন সরকারের নির্দেশনার কথা বলছে। সরকার ও প্রশাসনের লুকাচুরি খেলায় আমাদের হতাশা বাড়ছে, জীবনের আশার আলো স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে। দিনশেষে এর দায়ভার কে নিবে?
হল খোলার দাবি জানিয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, সরকারি হিসেবে কওমি মাদ্রাসায় প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা খোলার ৫-৬ মাস পার হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর করোনায় আক্রান্তের ঘটনা আমারা দেখিনি। কওমি মাদ্রাসাগুলোতে যেখানে শিক্ষার্থীরা একই রুমে গাদাগাদি করে থাকছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রতি রুমে ২ থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী থাকেন। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল খুলে দিতে সমস্যা কোথায়?
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর