ভাঙ্গা হচ্ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র- টিএসসি। ঐতিহ্যবাহী এ স্থাপনার মূল কাঠামো না ভেঙ্গে কিছু সংযোজনসহ সংস্কার করা হবে।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রতিনিধিদের সাথে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে টিএসসি না ভেঙ্গে সংস্কারের নকশা দেখিয়েছে গণপূর্ত অধিদফতর।
এই নকশায় টিএসসির সামনের ভবনসহ মূল কাঠামোর কোন পরিবর্তন না করে টিএসসির বর্তমান সুইমিং পুলের জায়গায় ১০ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করার কথা বলা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি আরেকটি সভায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গত, ৩রা জানুয়ারি উভয়পক্ষের একটি সভায় টিএসসিতে নতুন করে তিনটি ভবন করার প্রস্তাবনা দিয়েছিলো গণপূর্ত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই নকশা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছিলো।
রবিবারের সভার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম সিকদার বলেন, টিএসসি নিয়ে গণপূর্তের সঙ্গে দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সভার পরামর্শ অনুযায়ী টিএসসি না ভেঙে নকশা উপস্থাপন করেছে তারা। আর কিছুটা সংযোজন আছে। সুইমিং পুলের জায়গায় একটি ভবন নির্মাণ করা হবে। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। চার সপ্তাহ পর আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম সিকদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন। অপরদিকে, গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রকৌশলীসহ একটি টিম অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ এর দশকে গ্রিক স্থপতি কনস্ট্যান্টিন ডক্সিয়াডেস বাংলাদেশের গ্রামীণ বসতির আদলে বর্তমান টিএসসির নকশা করেন। সম্প্রতি টিএসসির বর্তমান স্থাপনা ভেঙে নতুন করে বহুতল ভবন স্থাপন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ টিএসসির দৃষ্টিনন্দন ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন