রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস, তাহের আহমেদের হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পার হলেও বিচার হয়নি খুনিদের।
২০০৬ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে মুক্তিযােদ্ধা ক্রিকেটার জুয়েলের পরিবারের সদস্য অধ্যাপক তাহের আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালস্থ বাসভবনে নৃশংসভাবে হত্যা করে ম্যানহােলে ফেলে রাখে খুনিরা। ২০০৮ সালে নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে আসামি ড. মিয়া মাে. মহিউদ্দিন, সালাম, নাজমুল, জাহাঙ্গীরের ফাঁসির রায় হয় এবং ২০১৩ সালে হাইকোর্টে ড. মিয়া মাে. মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ফাঁসির রায় বহাল থাকে এবং সালাম ও নাজমুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়। তবে বিচারের রায় নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের এপিলেট ডিভিশনে তালিকাভুক্ত হয়ে এখনো অপেক্ষমান রয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপকের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং বিচার সম্পন্ন করে রায় কার্যকরের দাবিতে আজ মঙ্গলবার শােক সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়ােজন করে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ।
শােকসভায় ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতিসহ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকতা ও কর্মচারীগণ, শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলােচনা সভায় প্রফেসর ড. এস. তাহের আহমেদের হত্যাকাণ্ডের হাইকোর্টের বিচারের রায় নিষ্পত্তি করে দ্রুত কার্যকর করার ব্যাপারে জোর দাবি জানানাে হয়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দোষীদের শাস্তির জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা পরিবার সরকারের সর্বোচ্চ মহলের সুদৃষ্টিও কামনা করে বিভাগের শিক্ষকরা।
এ সময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মাে. সুলতান-উল-ইসলাম, প্রফেসর ড. মাে. হামিদুর রহমান, প্রফেসর ড. এম. হাবিবুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. গােলাম সাব্বির সাত্তার, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. ইউনুস আহমদ খান, প্রফেসর ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান, প্রফেসর ড. খােন্দকার ইমামুল হক, প্রফেসর মৃনাল কান্তি রায় এবং বিভাগের শিক্ষার্থী মাে. গােলাম মােস্তফা প্রমূখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন