টেকসই উন্নয়নের জন্য সমাজের নৈতিকতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, বড় আকারের নৈতিক অবক্ষয় এখন আমাদের সামনে। নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে, সেটা মন্দিরে হামলাই হোক, বা নবী-রাসুলদের অপমান করাই হোক, অথবা ধর্মীয় গ্রন্থকে অবমাননা করাই হোক। অন্য মানুষকে আঘাত করা নৈতিকতা সমর্থন করে না।
বিশ্ব দর্শন দিবস-২০২১ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগ, গোবিন্দ দেব দর্শন কেন্দ্র, নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্র এবং দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এই আলোচনা সভা আয়োজন করে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সমকালীন সংকট মোকাবেলায় দর্শন।’
দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান ও গোবিন্দ দেব দর্শন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. হারুন রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তফা আবুলউলায়ী, দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা রহমান চৌধুরী বাবলী এবং সরকারি তিতুমীর কলেজের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাসিমা আক্তার চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভাগের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন ‘ইথিক্যাল জাস্টিফিকেশন অব হুইসেল-ব্লোয়িং এন্ড প্রটেশন অব হুইসেল অব হুইসেল ব্লোয়ারস’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সভায় উপাচার্য বলেন, সংকট নিরসনে দর্শন ভূমিকা রাখতে পারে। যখন আমরা নৈতিকতা কথা বলি, সেটা চর্চায় আনার জন্যই হুইসেল-ব্লোয়িং এর কথা বলা হয়েছে। সব মানুষই যদি হুইসেল-ব্লোয়িং করে তাহলে বোঝা যাবে আমরা কেউই খারাপ জিনিসের সাথে জড়িত নই।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন বলেন, হুইসেল-ব্লোয়িং হলো কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অবৈধ, বেআইনি, অযথার্থ কাজের তথ্য ওই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও সাবেক কর্মীর মাধ্যমে বাহিরে প্রকাশ হওয়ার ঘটনা। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করতে কর্মীগণ নৈতিকভাবে দায়বদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন বক্তা।
তিনি বলেন, ওই কর্মী প্রথমে নিজে নিজেই কোন অন্যায় নির্মূলের চেষ্টা করবেন। না পারলে তখন তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা গণমাধ্যমের সহায়তা নেবেন। এর আগে, সকালে বিশ্ব দর্শন দিবস উপলক্ষে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি অপরাজেয় বাংলা থেকে টিএসসি গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর