গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান তুহিনকে হত্যার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলেজর সামনে তার সহপাঠি ও স্থানীয়রা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করলে সন্ধ্যার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
গত শুক্রবার রাতে কোনাবাড়ির কর্মস্থল থেকে মজলিশপুরের বাসায় ফেরার পথে মহানগরীর নাওজোর এলাকায় মেহেদী হাসান ওরফে তুহিনকে গলা কেটে খুন করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বাসন থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত মেহেদী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন থানাধীন মজলিশপুর কাজীপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি কোনাবাড়ির রুনু সুপার মার্কেটের লোটাস টেলিকম নামের দোকানে ‘অপ্পো’ মোবাইল ফোন কোম্পানির বিক্রয় কর্মী (সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ) হিসেবে চাকরি করতেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ওসি মালেক খসরু খান জানান, হত্যার সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল