জাতিকে মেধাশূন্য করতেই ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে দেশের সেরা সন্তানদের হত্যা করা হয় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান বলেছেন, পাকিস্তানী হানাদার ও দোসরদের অশুভ উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলা যাবে না। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর দেশে বারবার অগণতান্ত্রিক শক্তির ক্ষমতা গ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটে।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল