খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ৪৪ জন শিক্ষার্থীর শোকজের জবাব নিয়ে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা মূলতবি ঘোষণা করা হয়।
আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টায় পুনরায় শৃঙ্খলা কমিটির সভা শুরু হবে। ওই সভা শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। পরে বেলা ১১টায় সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার মুখপাত্র মো. রবিউল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর গত ৩০ ডিসেম্বর ওই শিক্ষার্থীদের শোকজ করা হয়েছিল।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় সম্পৃক্ত ৪৪ শিক্ষার্থীর শোকজের জবাব যাচাইয়ে শৃঙ্খলা কমিটির সভা শুরু হয়। ১১ সদস্যের কমিটির সকলেই উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জবাব পর্যালোচনা করা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া সভা মূলতবি করা হয়।
জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর দুপুর ৩টার দিকে কুয়েটের ইইই শাখার প্রফেসর ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. সেলিম হোসেন হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মৃত্যুর কয়েকঘণ্টা আগে সেলিম হোসেন কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর মানসিক নিপিড়নের শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্ত কুয়েট ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। লালন শাহ হলে ডিসেম্বর মাসে ডাইনিং ম্যানেজার নির্বাচন নিয়ে ড. সেলিম হোসেনকে চাপ দেয়া হচ্ছিল।
এদিকে, ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে শিক্ষকের মৃত্যু ঘটনায় ৪৪ জন শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়। পরে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি তাদেরকে শোকজ করে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন