মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ধীন মৎস্য অধিদপ্তরের নন-ক্যাডার নিয়োগে চলমান বিধিমালার সংশোধনের দাবি তুলেছেন মৎস্য স্নাতকরা। রবিবার মৎস্যবিজ্ঞান সম্পর্কিত দেশের সতেরটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উক্ত দাবির প্রেক্ষিতে মানববন্ধন করেছেন। এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘গত ২৩ ডিসেম্বর মৎস্য অধিদপ্তরের নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা- ২০২০ অনুযায়ী বাংলাদেশ কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত দশম গ্রেডের মৎস্যবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে প্রাণিবিদ্যা ও মৎস্য ডিপ্লোমাধারীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হলেও মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের আবেদনের কোন সুযোগ রাখা হয়নি। সম্প্রতি বিজ্ঞাপিত নিয়োগে এ নিয়োগবিধি অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক পরিদর্শক, সহকারি হ্যাচারি কর্মকর্তা, সহকারি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ও মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা পদের বিপরীতে মোট ২০১ টি শূন্য পদে এ বৈষম্য করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ি দশম গ্রেডভুক্ত এমন ১১ টি পদে এমন অসামঞ্জস্য নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।’
এদিকে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী নবম গ্রেডের ২৫ টি পদে মৎস্য স্নাতকদের পাশাপাশি প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকদেরও আবেদনের যোগ্যতা দেয়া হয়েছে। অথচ দশম গ্রেডে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকদের সুযোগ দেওয়া হলেও মৎস্য স্নাতকদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে জানান বক্তারা।
তারা আরও বলেন, ‘বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর এক হাজারেরও বেশি মৎস্য স্নাতক বের হচ্ছে। অথচ সরকারি কর্ম কমিশনের নবম গ্রেডে নিয়োগে গত চারবছরে ১০০ শূন্য পদেও বিজ্ঞপ্তি আসেনি। এ অবস্থায় স্নাতকদের বেশিরভাগই টেকনিক্যাল পেশা বাদে দশম, এগারো এমনকি তেরোতম গ্রেডেও চাকরি করতে বাধ্য হচ্ছে। আমরা এ বৈষম্যের অবসান চাই।’
জানতে চাইলে মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহা. আতিয়ার রহমান বলেন, ‘একটা নিয়োগবিধি সংশোধন বেশ সময়সাপেক্ষ ও জটিল প্রক্রিয়া। তাছাড়া তাদের চাওয়ামতো সংশোধন করা হলে তারাই প্রশ্ন তুলতে পারে আমাদের অপমান করা হয়েছে। তাই সবদিক বিবেচনায় আপাতত অনুমোদিত নিয়োগবিধির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
প্রসঙ্গত, দেশের ছয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি, বাকৃবি, বশেমুরকৃবি, সিকৃবি, খুকৃবি, সিভাসু), চারটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি, রাবি, চবি, খুবি) এবং সাতটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (হাবিপ্রবি, পবিপ্রবি, নোবিপ্রবি, যবিপ্রবি, বশেমুরবিপ্রবি, রাবিপ্রবি, বশেফমুবিপ্রবি) মোট সতেরটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল