নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষার বাইরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের সময় কাটে বটতলা, মুরাদ চত্বর, পরিবহন চত্বর, টারজান, প্রধান ফটক, জয় বাংলা ফটক, বিশ মাইল সংলগ্ন প্রভৃতি এলাকায়। এ বিশেষ স্থানগুলোতে শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগতদের ব্যাপক সমাগম থাকলেও পর্যাপ্ত কোনো শৌচাগার ব্যবস্থা নেই। তাই জরুরি প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে হলে গিয়ে শৌচাগার ব্যবহার করতে হয় তাদের। আর এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে চরম ভোগান্তিতে ফেলে বলে জানান অনেক অভিভাবকেরা। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান ফটক ও জয় বাংলা গেইটে ১টি করে জরাজীর্ণ শৌচাগার রয়েছে। যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, দোকানিদের অর্থে করা হয় বলে জানা যায়। এছাড়া বটতলায় খাবার খেতে আসা ছাত্রী ও নারী বহিরাগতদের মধ্যে অনেকেই বাধ্য হয়ে ছেলেদের হলের অভ্যর্থনা কক্ষের শৌচাগার ব্যবহার করছেন। তবে অনেক ছাত্রী ও বহিরাগত নারীদের জন্য এটা বিব্রতকর বলে জানান তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এত বড় ক্যাম্পাস অথচ একটা পাবলিক শৌচাগারও নাই। অভিভাবকদের পাশাপাশি আমাদেরকেও এর জন্য চরম লজ্জায় পড়তে হয়। এই মুহূর্তে ক্যাম্পাসে এতোসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে যেখানে প্রশাসন একটা পাবলিক টয়লেট করতে পারবে না। উন্নয়ন কাজের শ্রমিকদের জন্যেও একটা শৌচাগার দরকার। সুন্দর পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ক্যাম্পাসে শৌচাগার নির্মাণ করা উচিত’।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গণশৌচাগার করার উপযুক্ত জায়গা নেই বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বটতলায় একটা শৌচাগার করা হলে সেটা দিনে ৩/৪ বার পরিষ্কার করা লাগবে, সেটা কে করবে? আর এগুলো করার জন্য একটা নিরিবিলি ভালো জায়গা লাগে। তাছাড়া ওইসব জায়গায় লাইব্রেরি, থিয়েটার হবে এগুলোর আশপাশে কি শৌচাগার করা যায়?’ অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোন শৌচাগার করা হবে না বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা