শিরোনাম
- অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
- ‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
- ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
- সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
- আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
- শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- ১৬ বছরে শিক্ষা খাতকেও দলীয়করণ করা হয়েছে: খোকন
- বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির শুভেচ্ছা
- প্রথমে স্থানীয়, পরে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
- স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
- শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার
- আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
- আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
- লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
- বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
- যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
- গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
- গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন
- এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন

১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার চিত্র তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, এই ন্যাক্কারজনক গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করা প্রয়োজন। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এদেশের বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা ও বর্বর গণহত্যার চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। তারা সকল অন্যায়, অপকর্ম ও বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। নিজ নিজ পেশায় তারা ছিলেন প্রথিতযশা। জাতিকে মেধাশূন্য করতেই পরিকল্পিতভাবে দেশের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করা হয় উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল গণহত্যার মূলকেন্দ্র। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের নৃশংস গণহত্যার নজির নেই। দেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা এই গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল। নতুন প্রজন্মের মাঝে ইতিহাস সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।
উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত যে সব কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এ কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শনের আলোকে উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়ের বাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর