জমকালো আয়োজন আর বিপুল উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাপুনর্মিলনী ২০২৩’।
শুক্রবার বুয়েট খেলার মাঠে আয়োজনে যোগ দিয়েছিলেন দেশ-বিদেশের প্রায় ছয় হাজার প্রকৌশলী এবং তাদের পরিবারবর্গ।
দিনব্যাপী মহাপুনর্মিলনীর বর্ণাঢ্য আয়োজনে ছিল উদ্বোধনী অধিবেশন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্ন ভোজ, নৈশ ভোজ ও বুয়েটের কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার প্রদানসহ বিনোদনের আরও অনেক আকর্ষণীয় কার্যক্রম। সতীর্থদের সাথে মিলিত হয়ে স্মৃতিচারণ আর মনোজ্ঞ আয়োজনে মহাপুনর্মিলনী পরিণত হয় মহামিলনে।
মহাপুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে বর্ণিলভাবে সাজানো হয় বুয়েটের খেলার মাঠ। বানানো হয় উদ্বোধনীর নয়নাভিরাম মঞ্চ। মঞ্চের পাশে কফি বুথ, মধ্যাহ্ন ভোজ, নৈশ ভোজনের জন্য প্যান্ডেল। ছিলো প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শিশুদের জন্য বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, রাইট, নাগরদোলাসহ নানান আয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও উপ-উপাচার্য অধ্যপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।
অনুষ্ঠানের বক্তারা বুয়েট অ্যালামনাইদের দেশে-বিদেশে অসামান্য কৃতিত্বপূর্ণ অবদান, বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, বিগত দিনের কার্যক্রম, বর্তমান ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রশাসনের নানামূখী পদক্ষেপ নেয়ার কারণে আগামীতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বর্তমানের চেয়ে একশ’ গুণ বেশি প্রশিক্ষিত হয়ে বের হবে।
অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনার বিষয় ছিল ‘প্রকৌশল শিক্ষার বিবর্তন এবং ভবিষ্যত’। প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বুয়েটের কেমিক্যাল এন্ড মেটিরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম।
আরো উপস্থিত ছিলেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের-এর মহাসচিব প্রকৌশলী মাহ্তাব উদ্দিন, মহাপুনর্মিলনী-২০২৩ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মুনীর উদ্দিন আহমেদ এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক ও বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ট্রাস্টি প্রচার, প্রকাশনা ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী ইমু রিয়াজুল হাসান।
এর আগে, গত বুহস্পতিবার বুয়েট অ্যালামনাই প্রকৌশল ১৯৭২ এবং স্থাপত্যে ১৯৭৩ ব্যাচের গ্র্যাজুয়েটদের ৫০ বছর এবং প্রকৌশল ১৯৯৩ এবং স্থাপত্যে ১৯৯৫ ব্যাচের গ্র্যাজুয়েটদের ৩০ বছর পূর্তিতে সংবর্ধনা জ্ঞাপন এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশের অবকাঠামো নির্মাণসহ প্রকৌশলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৭২ ব্যাচের ১১৩ জন এবং প্রকৌশল ১৯৯৩ ব্যাচের মধ্যে ১৮১ জন এবং স্থাপত্যে ১৯৯৫ ব্যাচের ১৬ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন