রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া ৭৭ ব্যাচের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীদের ৫ বছরেও শেষ হয়নি স্নাতক কার্যক্রম। দ্রুত ক্লাস শেষ এবং ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, মহামারি করোনাসহ নানা কারণে আমরা প্রায় একবছরের অধিক সময় পিছিয়ে আছি। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আমাদেরকে বলা হয়েছিল ৪ মাসে আমাদের সেমিস্টার শেষ করানো হবে। আমরা লেভেল-৪, সেমিস্টার-১ চারমাসে শেষ করেছি। কিন্তু লেভেল-৪, সেমিস্টার-২ তে ৬ মাসের কোর্স শিডিউল দিয়েছে ডিন অফিস। এ শিডিউলে আমাদের সেশনজট আরও বৃদ্ধি পাবে। সেশনজট কমাতে আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আশা করি, প্রশাসন আমাদের সবরকম সহযোগিতা করে এই সেমিস্টারও চারমাসে শেষ করবেন।
এসময় অবস্থানাকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন জামিউল আলম পরশ, ইমরান ইসলাম, কাবির খন্দকার ও সাঈনুর রহমান হৃদয়। এসময় তারা তাদের দাবি প্রকাশ করে বলেন, লেভেল ৪ এর ১ম সেমিস্টার যেভাবে ৪ মাসে শেষ করেছি, একইভাবে ২য় সেমিস্টারও আগামী ১৩ এপ্রিলের আগে শেষ করতে চাই। ডিন অফিস থেকে যে শিডিউল দেওয়া হয়েছে তা রেজাল্টসহ ৬ মাসের, অথচ করোনার মধ্যে প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল সেমিস্টার ৪ মাসের হবে। আমাদের দাবির সাথে আমাদের সব বিভাগীয় প্রধান স্যার ও কোর্সের শিক্ষকগণ একমত পোষণ করা সত্ত্বেও অজানা কারণে আমরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। হিসাবমতো আমরা ৪৫ তম বিসিএস ধরার কথা থাকলেও সেশনজটের কারণে তা পারিনি। আমরা গত ১ তারিখে আমাদের দাবিসহ আবেদন ও সেমিস্টারের মডেল শিডিউল ভিসি স্যার, ডিন স্যার ও চেয়ারম্যান স্যারদের কাছে দিয়েছি। আমাদের এই শিডিউল কার্যকর হলে সম্প্রতি ও অপেক্ষমাণ অনেক বড় বড় নিয়োগেও আবেদন করতে পারবো আমরা। সেশনজট কমানোর এই দাবি আমাদের মানবিক ও ন্যায্য দাবি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের ২য় অভিভাবক বিজ্ঞ শিক্ষকগণ আমাদের ব্যাপারে সদয় ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেবেন।
পরে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের একদল প্রতিনিধি কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রতিনিধিদল বলেন, ডিন স্যার বুধবারে সকল কোর্স শিক্ষক, বিভাগীয় প্রধান, উপাচার্যসহ মিটিং করে আমাদের পূর্বের রুটিন পরিবর্তন করে দিবেন। সেই পর্যন্ত তারা সময় নিয়েছেন। তাই বুধবার পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আশা করি, আমাদের এই সেমিস্টারও চার মাসে শেষ হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, আমি ছাত্রদের বিষয়ে সবসময় ইতিবাচক। তারা যেহেতু সিনিয়র ব্যাচ, বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা বুধবার মিটিং করে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো। আশা করা যায়, আমাদের সিদ্ধান্তে ছাত্ররা খুশি হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা